বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কম্বোডিয়ার সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ

  •    
  • ১৮ জানুয়ারি, ২০২২ ২০:১৭

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আশিয়ানের সভাপতি হিসেবে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনে কাজ করার বড় সুযোগ পেয়েছে কম্বোডিয়া। মিয়ানমারের সঙ্গে তাদের দারুণ সম্পর্ক কাজে লাগিয়ে কম্বোডিয়া মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের দ্রুত মিয়ানমারে পৌঁছুতে কাজ করবে বলে বাংলাদেশ আশা করে।’

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জোট আশিয়ানের বর্তমান সভাপতি ও মিয়ানমারের ঘনিষ্ঠ কম্বোডিয়ার সরাসরি সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ। জবাবে দেশটি ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ বড় হৃদয়ের পরিচয় দিয়েছে উল্লেখ করে এই সংকটে বাংলাদেশের প্রতি সহানুভূতি জানিয়েছে।

মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন মঙ্গলবার কম্বোডিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা মন্ত্রী প্র্যাক সোখোনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। মোমেন কম্বোডিয়ার আসিয়ানের সভাপতিত্ব গ্রহণ এবং প্র্যাক সোখোনের মিয়ানমারে আসিয়ান চেয়ারের বিশেষ দূত হিসেবে নিযুক্ত হওয়ায় কম্বোডিয়া সরকারকে অভিনন্দন জানান।

দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী ও চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উল্লেখ করে মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশ নিকটতম প্রতিবেশী হিসেবে কম্বোডিয়াকে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে মূল্যায়ন করে।

‘আশিয়ানের সভাপতি হিসেবে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনে কাজ করার বড় সুযোগ পেয়েছে কম্বোডিয়া। মিয়ানমারের সঙ্গে দারুণ সম্পর্ক কাজে লাগিয়ে কম্বোডিয়া মানবিক কারণে বাংলাদেশে আশ্রয়প্রাপ্ত রোহিঙ্গাদের দ্রুত মিয়ানমারে পৌঁছুতে কাজ করবে বলে বাংলাদেশ আশা করে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা সংকটকে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সম্প্রীতি এবং নিরাপত্তা ঝুঁকি হিসেবে তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও মিয়ানমারসহ বৃহত্তর অঞ্চলের জন্য রোহিঙ্গারা সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করেছে। এটা এসব বাস্তুচ্যুত জনগণের কট্টরপন্থা, চরমপন্থাকে উস্কে দিচ্ছে। দ্রুতই তারা সন্ত্রাসবাদ ও আন্তঃসীমান্ত অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।’

প্র্যাক সোখোন মিয়ানমারের ১১ লাখ বাস্তুচ্যুত নাগরিককে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ ‘বড় হৃদয় দেখিয়েছে উল্লেখ এর প্রশংসা করেন।

তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে বাংলাদেশ যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে এজন্য আমার সম্পূর্ণ উপলব্ধি এবং সহানুভূতি রয়েছে। সংকট সমাধানে একটি টেকসই সমাধান আনতে আমি সর্বোত্তম প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব।’

দুই দেশের দারুণ সম্পর্কের উদাহরণ টানতে গিয়ে কম্বোডিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এর বড় উদাহরণ হলো দুই দেশের রাজধানীর দুটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা দুই দেশের জাতির জনকের নামে নামকরণের সিদ্ধান্ত। এটা দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে।’

আসিয়ান সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনারশিপ স্ট্যাটাসের জন্য বাংলাদেশের বিড ত্বরান্বিত করতে কম্বোডিয়ার সহায়তার জন্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুরোধে কম্বোডিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার সমর্থন প্রকাশ করেন এবং এ বিষয়ে আসিয়ান সচিবালয়ের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমন্বয়ের আশ্বাস দেন।

মোমেন তার কম্বোডিয়ার প্রতিপক্ষকে বাংলাদেশ সফর এবং আশ্রয়প্রাপ্ত রোহিঙ্গা জনগণকে সরাসরি দেখার আমন্ত্রণ জানান। প্র্যাক তা গ্রহণ করেন।

এ বিভাগের আরো খবর