বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপির লবিংয়ের প্রমাণ আছে’

  •    
  • ১৭ জানুয়ারি, ২০২২ ১৮:২৬

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপির লবিস্ট নিয়োগের ব্যাপারে আমার কাছে প্রথম যে ডকুমেন্ট আছে সেটি হলো- ২০১৫ সালে একিন কোম্পানি অ্যাসোসিয়েটসের সঙ্গে বিএনপির নয়াপল্টনের অফিসের ঠিকানা দিয়ে একটি চুক্তি হয়। মাসিক ৫০ হাজার ডলারের বিনিময়ে ওই চুক্তি তিন বছর অব্যাহত ছিল। এ ধরনের ১০টি ডকুমেন্ট আমার কাছে আছে।’

যুক্তরাষ্ট্রে লবিংয়ের জন্য গত পাঁচ বছরে বিএনপি-জামায়াতের টাকা দেয়ার প্রমাণ আছে বলে জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।

একাদশ জাতীয় সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে সোমবার সংসদে দেয়া রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগের ব্যাপারে আমার কাছে প্রথম যে ডকুমেন্ট আছে সেটি হলো- ২০১৫ সালে একিন কোম্পানি অ্যাসোসিয়েটসের সঙ্গে বিএনপির নয়াপল্টনের অফিসের ঠিকানা দিয়ে একটি চুক্তি হয়। মাসিক ৫০ হাজার ডলারের বিনিময়ে ওই চুক্তি তিন বছর অব্যাহত ছিল। ওই প্রতিষ্ঠানকে বছরে ছয় লাখ ডলার দেয়া হয়েছে। সে হিসাবে তিন বছরে প্রায় দুই মিলিয়ন ডলার দেয়া হয়। এ ধরনের ১০টি ডকুমেন্ট আমার কাছে আছে।’

প্রতিমন্ত্রী এ সময় সংসদে ডকুমেন্টগুলো দেখান। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশনে তাদের হিসাব প্রকাশ করে। বিএনপিকে জিজ্ঞাসা করতে হবে, এই টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে গেছে কি না? তা না হলে এতিমের টাকা মেরে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। সেই টাকার ব্যবহার এখানে করা হয়েছে কি না, আমরা সেই তদন্ত চাই।

শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘পৃথিবীর যত শক্তিধর রাষ্ট্রই হোক না কেন, তারা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের ক্ষমতা রাখে না।

‘বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে দেশের ১৬ কোটি মানুষ। আমাদের সমস্যা যদি থাকে আমরা তা এই পার্লামেন্টে আলোচনা করব। রাজপথে যাব। আমরা সেখানে সেটার সমাধান করব। নির্বাচন কমিশনে যাব। মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে যাব।’

এর আগে পবিত্র কোরআনের উদ্ধৃতি দিয়ে সত্য কথা ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার দাবি জানান বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ।

জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পবিত্র কোরআনের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি (হারুন) বলেছেন- জানা সত্ত্বেও মিথ্যাকে গোপন করিও না। আমি দাবি করব, এই বক্তব্যটি তার রাজনৈতিক জীবনে পালন করছেন কি না তা প্রমাণ করে দেখাবেন। নিজেকে সত্যিকারের মুসলমান হিসেবে যদি দাবি করেন তাহলে সেই মিথ্যাগুলো যেন গোপন না করেন। অন্ততপক্ষে ভবিষ্যতে এবং এই সংসদে ২০২২ সালের শীতকালীন অধিবেশনে তার দলের সাবেক ও বর্তমান নেতাদের কুকর্মগুলো যেন তিনি প্রকাশ করেন।’

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে অভূতপূর্ব নির্বাচন হয়েছে উল্লেখ করে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘পৃথিবীর বেশির ভাগ দেশে ইভিএম আছে। ইভিএমের মাধ্যমে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক নির্বাচন করা সম্ভব। সেটি মাহবুব তালুকদারের মতো নির্বাচন কমিশনারও গতকাল স্বীকার করেছেন।’

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তারেক রহমানকে এখনো কীভাবে তারা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বলেন। একজন দুর্নীতিবাজ সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি কীভাবে দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হন? পবিত্র কোরআনের আলোকে আমি তার (হারুন) কাছে এ বিষয়ে জানতে চাই।

‘২০১০ সালের ৩০ জানুয়ারি খালেদা জিয়া ওয়াশিংটন টাইমসে আর্টিকেল লিখেছিলেন। তা প্রকাশ পাওয়ার পর বিএনপির সব নেতাকর্মী অস্বীকার করে বলেছিলেন যে এটা খালেদা জিয়ার লেখা নয়।’

এ বিভাগের আরো খবর