নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট আয়োজনের শেষ প্রস্তুতি চলছে। কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে ভোটের সরঞ্জাম।
রোববার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হবে ভোট। একটানা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এর আগে সব প্রস্তুতি সাড়তে শনিবার দুপুর থেকে শুরু হয় কেন্দ্রে কেন্দ্রে ইভিএমসহ নির্বাচনি সরঞ্জাম পাঠানোর কাজ।
তিনটি পয়েন্ট থেকে বিতরণ করা হচ্ছে এসব সরঞ্জাম। প্রতিটি কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা এসে নির্ধারিত পয়েন্ট থেকে বুঝে নেন সরঞ্জামাদি। তারপর পুলিশ প্রহরায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নির্ধারিত কেন্দ্রে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার জানান, মোট ১৯২টি কেন্দ্রের সরঞ্জাম তিনটি স্থান থেকে পাঠানো হচ্ছে। নগরীর মরগ্যান গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে দেয়া হচ্ছে ১০ থেকে ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের সরঞ্জাম। ১ থেকে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সরঞ্জাম পাঠানো হচ্ছে সিদ্ধিরগঞ্জ পাওয়ার হাউস স্কুল থেকে। আর বন্দর থানার মালামাল বিতরণ হবে বন্দর থেকে।
নগরীর মরগ্যান গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে শনিবার দুপুরে কেন্দ্রে নির্বাচনি সরঞ্জাম পাঠানোর কাজ পরিদর্শনে এসে রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার জানালেন ভোট আয়োজন নিয়ে তাদের প্রস্তুতি খুব ভালো।
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতি ভালো, পরিবেশও সন্তোষজনক আছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তো নিয়োজিত আছেই। পাশাপাশি অতিরিক্ত হিসেবে বিজিবি চাওয়া হয়েছে। স্ট্রাইকিং ফোর্স, মোবাইল ফোর্স, টহল বাহিনী, সবই থাকবে। র্যাব, বিজিবি, পুলিশ, আনসার সবাই থাকবেন।’
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম নিয়ে যদি কোনোরকম ত্রুটি দেখা দেয় এজন্য পুরো সিটি করপোরেশনের ৪৮ জনের টেকিনিক্যাল পারসনদের নিয়ে মোবাইল টিম থাকবে বলে জানান রিটানিং কর্মকর্তা। বলেন, ‘যখন যেখানে প্রয়োজন হবে, তারা তা সমাধান করবেন।’
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে ভোট উপলক্ষে শুক্রবার শেষ হয় ১৭ দিনের বিরামহীন প্রচারণা। এবার ভোটের অপেক্ষা। রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে একটানা ভোটগ্রহণ। ভোট হবে ইভিএম পদ্ধতিতে। পাঁচ বছরের জন্য নতুন নগরপিতা পাবে নারায়ণগঞ্জ।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র হতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট সাতজন প্রার্থী। আর ২৭টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদপ্রার্থীর সংখ্যা ১৪৮ জন। আর ৯টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রার্থীর সংখ্যা ৩২।
নির্বাচনের মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১৯২টি। আর ভোটার রয়েছেন ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন, যাদের মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৬ জন, আর নারী ভোটার আছেন ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫১১ জন।
১৯২টি কেন্দ্রের সব কটিতেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।