বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পরিবেশ ভালো, ভোট হবে উৎসবমুখর: আইভী

  •    
  • ১২ জানুয়ারি, ২০২২ ১৯:১৮

‘২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জে খুবই সন্দুর একটা নির্বাচন হয়েছিল। সরকার খুবই সুন্দর নির্বাচন করেছে। ‘২০১৬ তে আমি নির্বাচন করেছি সাখাওয়াত হোসেন খানের সঙ্গে, অসম্ভব সুন্দর পরিবেশ ছিল। ওই নির্বাচনেও মানুষ উৎসবমুখর পরিবেশে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। ঠিক একইভাবে ১৬ জানুয়ারি উৎসবমুখর পরিবেশে সাধারণ মানুষ ভোট দেবে।’

নারায়ণগঞ্জে ভোটের আগে আগে নেতা-কর্মীদেরকে পুলিশের হয়রানির যে অভিযোগ তৈমূর আলম খন্দকার তুলেছেন, সেটি নাচক করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী। বলেছেন, আগের দুই নির্বাচনের মতো এবারও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হবে সেখান।

ভোটের পরিবেশ অনেক ভালো আছে জানিয়ে নৌকা মার্কার মেয়র প্রার্থী বলেন, ‘বর্তমান যে পরিবেশ বিরাজ করছে তা আগামী ১৬ তারিখ পর্যন্ত থাকবে। সুষ্ঠু ও স্বাভাবিকভাবে যেন সকলেই উৎসবমুখর পরিবেশে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সেই ব্যবস্থাই প্রশাসন করবে।’

বুধবার নগরীর ১৫নং ওয়ার্ড কিন্ডার কেয়ার স্কুলের সামনে গণসংযোগে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

একই দিন অন্য একটি পথসভায় তৈমূর অভিযোগ করেন, আইভীর অবস্থান নড়বড়ে হয়ে গেছে। এতদিন প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকলেও এখন পুলিশ হয়রানি করছে।

তৈমূর বলেন, ‘প্রশাসন আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিযান চালাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের অনেক নেতাকর্মী এখন আর বাসায় থাকতে পারছে না। এই প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেই আমাদের নির্বাচন করতে হচ্ছে। এতদিন পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করেনি, এখন যারা রাজনীতিবিদ তাদেরকে মাদক ব্যবসায়ী বানিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করছে।’

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইভী বলেন, ‘নগরীর পরিবেশ ঠিক রাখার জন্য যদি কোনো মাদক ব্যবসায়ী, কোনো জঙ্গি অথবা কিশোর গ্যাং সদস্যদের পুলিশ ধরে নিয়ে যায়, সেটা সঠিক কাজ করেছে তারা। এর বাইরে আর কাকে ধরে নিয়ে গেছে সেটা আমি জানি না। বর্তমানে আমি নির্বাচনী কাজে ভোটের মাঠে অবস্থান করছি।’

নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার শেষ মেয়র এবং ২০১১ সালের প্রথম ও ২০১৬ সালের দ্বিতীয় সিটি নির্বাচনে আইভী তার প্রতিদ্বন্দ্বীদেরকে বলতে গেলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তবে এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকার আশা করছেন, তিনি নৌকা মার্কার প্রার্থীকে হারিয়ে দিতে পারবেন।

আগের দুই নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে আইভী বলেন, ‘২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জে খুবই সন্দুর একটা নির্বাচন হয়েছিল। সরকার খুবই সুন্দর নির্বাচন করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছিল। ওই সময় সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে কিংবা প্রশাসন সেই ব্যাপারে সহযোগিতা না করলে ১১ সালে আমি মেয়র নির্বাচিত হতে পারতাম না।

‘২০১৬ তে আমি নির্বাচন করেছি সাখাওয়াত হোসেন খানের সঙ্গে, অসম্ভব সুন্দর পরিবেশ ছিল। ওই নির্বাচনেও মানুষ উৎসবমুখর পরিবেশে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। ঠিক একইভাবে ১৬ জানুয়ারি উৎসবমুখর পরিবেশে সাধারণ মানুষ ভোট দেবে।’

সুন্দর, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবশে রাখার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ করেন আইভী, যে অনুরোধ করেছেন তৈমূরও।

আইভী বলেন, ‘শহরের পরিবেশ যেন সুন্দর থাকে, কেউ যেন কাউকে ভয় দেখাতে না পারে, যে কোনো বিশৃঙ্খল ঘটনা ছাড়া নির্বাচনটা যাতে সুন্দর ও সুষ্ঠু হয়।’

নির্বাচনে টাকার ছড়াছড়ি হচ্ছে এমন সংবাদ পেয়েছেন জানিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বলেন, ‘এই টাকার ছড়াছড়ি বন্ধ করতে হবে প্রশাসনকেই।’

প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীকে ‘কাকা’ আইভী বলেন, ‘সারা বাংলাদেশ জানে আমি গরিব মানুষ। গরিব বলতে আমার অর্থনৈতিক অবস্থা, আমি খুবই সাধারণ জীবনযাপন করি। এই বিষয়টি আমার শত্রুপক্ষও যেমন জানে তেমিন আমার কাকা তৈমূর আলম খন্দকারও জানেন। আমি জীবনে কখনোই টাকার রাজনীতি করি নাই এবং ভবিষ্যতেও করব না। সুতরাং নির্বাচনী মাঠে টাকা কেত্থেকে ছড়াচ্ছে এটা নিয়ে আমার প্রশ্ন প্রশাসনের কাছে।’

তৈমূরের সঙ্গে বহিরাগত রয়েছেন কি না এমন প্রশ্নে আইভী বলেন, ‘সন্ত্রাসী যে কারও সঙ্গেই থাকতে পারে। সন্ত্রাসীদের কোনো দল নাই, ধর্ম ও জাতও নেই তাদের। এই শহরে তো চিহ্নিত সন্ত্রাসীরাও আছে। যারা কিশোর গ্যাং এর লিডার, যারা মাদক বিক্রেতা ও হোন্ডা বাহিনীদেরও লিডার।’

তৈমূর দাবি করেছেন, জনমত এখন তার পক্ষে। তবে আইভী বলেছেন, তিনি তৃতীয় জয় পেতে যাচ্ছেন।

তৈমূরকে আইভী বলেন, ‘হাতি তো জঙ্গলে থাকে, শহরে থাকে না। বনের হাতি বনে যাবে, নৌকা মার্কা জিতে যাবে।’

এ বিভাগের আরো খবর