ভোলা সদর উপজেলায় নবনির্বাচিত ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে হিন্দু সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তির বাড়িতে ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ উঠেছে।
নির্বাচন-পরবর্তী এ সহিংসতায় নিরাপত্তার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই ব্যক্তি ও সম্প্রদায়ের স্থানীয়রা।পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুনীল চন্দ্র মাঝি তার বাড়িতে শনিবার সকালে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সেখানে লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ইউনিয়ন পরিষদের পঞ্চম ধাপের নির্বাচনে মোরগ প্রতীকে সদস্য প্রার্থী লিটন সিকদারকে সমর্থন না করে ফুটবল প্রতীকের শাহে আলম সিকদারকে তিনি সমর্থন করেন।
কিন্তু নির্বাচনে লিটন সিকদার জয়ী হলে শুক্রবার সকালে তার কর্মী-সমর্থকরা সুনীলের বসতবাড়িতে ভাঙচুর করে এবং ভয়ভীতি দেখায়।
এ ঘটনার পর থেকে সুনীল ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়িছাড়া রয়েছেন। তাই লিটন সিকদারের এমন নির্যাতনের প্রতিবাদ ও নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সুনীল ও হিন্দু সম্প্রদায়ের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। এ সময় বাবু রশিদ চন্দ্র, কালাচান সিকদারসহ সম্প্রদায়ের অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে হিন্দু সম্প্রদায়ের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। ছবি: নিউজবাংলাতবে অভিযোগ অস্বীকার করে নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য লিটন সিকদার বলেন, ‘নির্বাচনে জয়লাভের পরের দিন সমর্থকদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছিলাম। তখন পরাজিত প্রার্থী শাহে আলমের সমর্থকরা আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করেন।
‘এ হামলায় আমাদের প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন কর্মী এখনও হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আমরা হিন্দু সম্প্রদায়ের কোনো বাড়িতে ভাঙচুর করিনি। আমার সমর্থকদের বিরুদ্ধে তারা মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন। বরং তাদের সমর্থকরাই হিন্দুদের বাড়িতে হামলা করেছে।’
এ ঘটনায় ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।