সরকারি স্কুলে লটারিতে নির্বাচিত হয়েও অনেক শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি। সেসব শূন্য আসনে ফের লটারি নয়, ভর্তির কাজ হবে আগের নিয়মে।
শিক্ষার্থী ভর্তির সংশোধিত এ নীতিমালার কথা জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব আলমগীর হুছাইনের সই করা সংশোধিত নীতিমালায় বলা হয়েছে, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লটারির পর শূন্য থাকা আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে সাধারণভাবে।
সরকারি-বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য এবার লটারির আয়োজন করা হয়। এরই মধ্যে বেশির ভাগ স্কুলে ভর্তির কার্যক্রম শেষের পথে। তবে সরকারি স্কুলে লটারিতে নির্বাচিত হওয়ার পরও অনেক শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি, সে ক্ষেত্রে ফের লটারি না করে সাধারণভাবেই শিক্ষার্থী ভর্তির নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
নীতিমালায় বলা হয়, স্কুলের এন্ট্রি শ্রেণিতে এবং আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে সাধারণভাবে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে।
সংশোধিত নীতিমালায় শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে বয়স নির্ধারণবিষয়ক জটিলতা দূর করতে সুনির্দিষ্ট ব্যাখাও দেয়া হয়েছে।
নীতিমালায় বয়স নির্ধারণ বিষয়ে বলা হয়েছে, জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ অনুযায়ী প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর বয়স ৬ বছরের বেশি হতে হবে। সে হিসেবে ২য় হতে ৯ম শ্রেণির ভর্তির বয়স নির্ধারিত হবে। ভর্তির বয়সের ঊর্ধ্বসীমা সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় নির্ধারণ করবে। শিক্ষার্থীর বয়স নির্ধারণের জন্য ভর্তির আবেদন ফরমের সাথে অনলাইনে জন্মনিবন্ধন সনদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে।
গত ১৫ ডিসেম্বর সরকারি স্কুলগুলোতে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির লটারি হয়। এতে ৭৫ হাজার ৯৬৯ শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়। আর বেসরকারি স্কুলগুলোর প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত লটারি হয় গত ১৯ ডিসেম্বর। এতে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয় ২ লাখ ৭৬ হাজার ৬৪১ শিক্ষার্থী।
করোনা মহামারির কারণে গত বছর প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। এর আগে শুধু প্রথম শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতো। আর দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তিতে পরীক্ষা নেয়া হতো। নবম শ্রেণিতে ভর্তি করা হতো জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর ২০২০ সালের ১৭ মার্চ সারা দেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। এর প্রায় দেড় বছর পর গত ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল-কলেজে ক্লাস শুরু হয়।