নাটোরের সিংড়ায় চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ৯ দিন পর সিলমারা কিছু ব্যালট পেপার পাওয়া গেছে পরিত্যক্ত অবস্থায়। এর মধ্যে কিছু মিলেছে নদীতে, কিছু বস্তাবন্দি অবস্থায় বাজারে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল আলম ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, উপজেলার চামারী ইউনিয়নের বিলদহর মরা নদীতে সকালে সিলমারা কিছু ব্যালট পেপার ভাসতে দেখে তুলে আনেন স্থানীয়রা। কিছুক্ষণ পর বিলদহর বাজারের স মিলের পাশে এক বস্তা সিলমারা ব্যালট পেপার দেখেন লোকজন।
তিনি আরও জানান, পুলিশ গিয়ে সেগুলো জব্দ করে। খুলে দেখা যায় সেগুলোর বেশির ভাগই মোটরসাইকেল প্রতীকে এবং কয়েকটিতে নৌকা প্রতীকে সিল মারা রয়েছে।
চামারী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত নৌকার প্রার্থী রশিদুল ইসলাম মৃধা জানান, ব্যালট পেপার কীভাবে সেখানে গেল তা তার জানা নেই। প্রশাসনের তা খতিয়ে দেখা দরকার।
ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান নৌকার বিদ্রোহী হাবিবুর রহমানও জানান, ব্যালটগুলোর বিষয়ে তার জানা নেই।
তবে এই ইউপির আরেক পরাজিত প্রার্থী মোটরসাইকেল প্রতীকের রবিউল করিম বলেন, ‘নির্বাচনের দিনে ব্যাপক কারচুপি করা হয়েছিল। আমার এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছিল। আমাকে ষড়যন্ত্র করে পরাজিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমি আইনি ব্যবস্থা নেব।’
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল আলম বলেন, ‘ব্যালট পেপার উদ্ধার করে থানায় নেয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর-এ-আলম সিদ্দিকী জানিয়েছেন, থানা থেকে সেগুলো রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারাই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।