বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যুবক হত্যার দায়ে ৪ জনের যাবজ্জীবন

  •    
  • ৪ জানুয়ারি, ২০২২ ১৫:০০

আসামিপক্ষের আইনজীবী সনৎ কুমার ও তৌফিক ইমাম খান বলেন, ‘আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব। সেখান থেকে দণ্ডিতরা খালাস পাবেন বলে আশা করছি।’ তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী দেওয়ান মজনুল হক বলেন, ‘এই মামলায় তারা অপরাধী প্রমাণিত হয়েছেন।’

পাবনায় এক যুবককে হত্যায় চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। মামলায় খালাস পেয়েছেন ১৯ জন।

পাবনার বিশেষ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আহসান তারেক মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে এ রায় দেন।

দণ্ডিতরা হলেন সাঁথিয়ার নন্দনপুর ইউনিয়নের মাহমুদপুর গ্রামের ওয়াসিম মুন্সি, নন্দনপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মো. মোস্তফা, গোবিন্দপুর গ্রামের মিরাজুল ইসলাম ও একই গ্রুপের শাহাদুল শাহাদত।

রায়ের সময় শাহাদত ও ওয়াসিম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অন্য দুজন পলাতক।

এজাহারে জানা যায়, ২০০৬ সালের ১৯ অক্টোবর দুপুরে গোবিন্দপুর থেকে সুন্দরকান্দি গ্রামে শ্বশুর আনছার আলীর বাড়িতে পরিবারসহ বেড়াতে যান রফিকুল ইসলাম। ঈদের আগের রাতে এলাকার অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরে তাকে ডেকে নিয়ে শ্বাসরোধ ও কুপিয়ে হত্যা করে একটি ধানক্ষেতে মরদেহ ফেলে পালিয়ে যান আসামিরা। পরের দিন সকালে মরদেহটি দেখতে পায় স্থানীয়রা।

এ ঘটনায় ২৫ থেকে ৩০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনের নামে সাঁথিয়া থানার এসআই আজিজুর রহমান একটি মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২৩ জনের নামে চার্জশিট দেয় পুলিশ।

পুলিশ কললিস্ট ধরে সবাইকে গ্রেপ্তার করেন। দীর্ঘ শুনানির পর আদালত হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ও পরিকল্পনাকারী চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। বাকি ১৯ জনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।

আসামিপক্ষের আইনজীবী সনৎ কুমার ও তৌফিক ইমাম খান বলেন, ‘আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব। সেখান থেকে দণ্ডিতরা খালাস পাবেন বলে আশা করছি।’

তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী দেওয়ান মজনুল হক বলেন, ‘এই মামলায় তারা অপরাধী প্রমাণিত হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। হত্যার সঙ্গে জড়িত প্রমাণিত না হওয়ায় বাকি ১৯ জনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর