বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আ.লীগ নেতাকে ‘পেটালেন’ সেই ইমাদ

  •    
  • ২ জানুয়ারি, ২০২২ ২১:১৭

এখলাস বলেন, ‘নির্বাচনে তাকে ভোট না দেয়ার অভিযোগ তুলে বর্ণি গ্রামের লোকজনকে কটাক্ষ করে ইমাদ বক্তব্য দিতে শুরু করেন। এ সময় আমি প্রতিবাদ করলে তিনি তেড়ে আসেন। এরপর ইমাদ একটি তালা দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করেন।’ তবে ইমাদের ভাষ্য, ‘আমি মারধর করিনি। আমার সমর্থক কয়েকজনের সঙ্গে তার হাতাহাতি হয়।’

শিবিরের দায়িত্বশীল পদে থাকার অভিযোগ নিয়ে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে নির্বাচিত চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন ইমাদের বিরুদ্ধে এবার আওয়ামী লীগের এক নেতাকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে।

আহত দক্ষিণ রণিখাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এখলাছ আলী সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে রোববার বিকেলে বাড়ি ফিরেছেন। তার মাথায় আটটি সেলাই লেগেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

শনিবার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বর্ণি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই বিতরণ অনুষ্ঠানে এ হামলার ঘটনা ঘটে। তবে রোববার বিকেল পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি বলে জানিয়েছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল ইসলাম।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন ইমাদ বলেন, ‘কাল একটু ঝামেলা হইছে। ওই ব্যক্তি (এখলাস) আমাকে কটাক্ষ করে অনেক কথা বলেছিলেন। তখন আমার সমর্থক কয়েকজনের সঙ্গে তার হাতাহাতি হয়। তবে আমি কোনো হামলা বা মারধর করিনি।’

বর্ণি উচ্চ বিদ্যালয়ে বই বিতরণের ওই অনুষ্ঠানে ইমাদ ও এখলাছ ছাড়াও অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান শামীম আহমদ।

গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দক্ষিণ রণিখাই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন এখলাস। তবে এ পদে দল থেকে মনোনয়ন দেয়া হয় ইমাদকে। যিনি উপজেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে।

ওই অনুষ্ঠানে থাকা একাধিক ব্যক্তি জানান, নির্বাচন নিয়ে ইমাদ ও এখলাসের মধ্যে দ্বন্দ্ব। ইমাদকে এখলাস সমর্থন করেননি এই অভিযোগ এনে দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুজন হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় ইমাদ ও তার এক সহযোগী এখলাসের মাথায় আঘাত করেন।

হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর এখলাস অভিযোগ করে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তিনি শিবির করতেন। তাকে যখন আওয়ামী লীগের কমিটিতে পদ দেয়া হয়, তখন থেকেই আমি প্রতিবাদ করেছি। গত নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আমিও দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলাম।

‘তবে দল থেকে তাকে প্রার্থী দেয়া হয়। সাবেক শিবির নেতাকে নৌকা প্রতীক দেয়ায় সে সময় প্রতিবাদ করেছিলাম। এ কারণে তিনি আমার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন।’

এখলাস বলেন, ‘নির্বাচনে তাকে ভোট না দেয়ার অভিযোগ তুলে অনুষ্ঠানে বর্ণি গ্রামের লোকজনকে কটাক্ষ করে ইমাদ বক্তব্য দিতে শুরু করেন। এ সময় আমি প্রতিবাদ করলে তিনি তেড়ে আসেন। এরপর ইমাদ একটি তালা দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করেন।’

এখলাস বলেন, ‘এলাকাবাসী আমাকে উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তবে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখান থেকে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।’

এ ব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শামীম আহমদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে গত ১১ নভেম্বর দক্ষিণ রণিখাই ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হন ইমাদ।

দ্বিতীয় ধাপে ইউপি নির্বাচনে সিলেটের ইউনিয়নগুলোয় আওয়ামী লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত করার পর পরই ইমাদকে নিয়ে ব্যাপাক আলোচনা-সমালোচনা হয়।

সিলেটে গত ১৪ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলন করে ইমাদের শিবির সম্পৃক্ততার প্রমাণ উপস্থাপন করেন আওয়ামী লীগের নেতারা। তবে ইমাদ সব সময়ই বলেছেন, নামের মিলের কারণে তাকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে। ইকবাল হোসেন এমাদ নামে আরেকজন শিবিরের রাজনীতি করতেন। তবে তিনি কখনও শিবির করেননি।

এ বিভাগের আরো খবর