এইচএসসি পরীক্ষার ১৮তম দিনে দেশের ৯টি শিক্ষা বোর্ডের প্রায় ১১ হাজার পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে এদিন কোনো পরীক্ষার্থী বহিষ্কার হননি।
বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সকালের পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন ১০ হাজার ৯৮১ জন। বিকেলের পরীক্ষায় কোনো শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন না।
বৃহস্পতিবার সকালে হয় সমাজবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র ও সমাজকর্ম দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা। এতে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে অনুপস্থিত থাকেন ২ হাজার ৬৬২ জন, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৩৭৯, রাজশাহী বোর্ডে ১ হাজার ৬৫৪, বরিশাল বোর্ডে ৯২৫, সিলেট বোর্ডে ৭১১, দিনাজপুর বোর্ডে ১ হাজার ৯৫, কুমিল্লা বোর্ডে ১ হাজার ১৪৯, ময়মনসিংহ বোর্ডে ৭৩৬ এবং যশোর বোর্ডে ১ হাজার ৬৭০ জন।
বিকেলে হয় ক্রীড়া দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা। এতে কোনো শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন না।
সাধারণত প্রতি বছরের এপ্রিলে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হলেও এ বছর করোনা মহামারির কারণে এই পাবলিক পরীক্ষা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নেয়ার ঘোষণা দেয় সরকার।
এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিতে নিবন্ধন করেছেন ১৩ লাখ ৯৯ হাজার ৬৯০ শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ২৯ হাজার ৭৩৮ জন এবং ছাত্রী ৬ লাখ ৬৯ হাজার ৯৫২ জন।
সাধারণ ৯টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করেছেন ১১ লাখ ৩৮ হাজার ১৭ জন। এদের মধ্যে ছাত্র ৫ লাখ ৬৩ হাজার ১১৩ জন এবং ছাত্রী ৫ লাখ ৭৪ হাজার ৯০৪ জন।
মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলিমের জন্য নিবন্ধন করেছেন ১ লাখ ১৩ হাজার ১৪৪ জন। এদের মধ্যে ছাত্র ৬১ হাজার ৭৩৮ জন এবং ছাত্রী ৫১ হাজার ৪০৬ জন।
এইচএসসি (বিএম/ভোকেশনাল) পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করেছেন ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫২৯ জন। এদের মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৪ হাজার ৮২৭ জন এবং ছাত্রী ৪৩ হাজার ৬৪২ জন।
দেশে ৯ হাজার ১৮৩টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ২ হাজার ৬২১টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। দেড় বছর পর ১২ সেপ্টেম্বর খুলে দেয়া হয় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।