নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে আগামী পাঁচ বছরের জন্য আবারও সমর্থন চেয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, নগরবাসীর চাহিদা পূরণে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন।
সিদ্ধিরগঞ্জের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জালকুরি এলাকায় বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে নির্বাচনি প্রচারের সময় তিনি এ কথা বলেন।
গণসংযোগের সময় তাকে দেখতে ছুটে আসেন নারী ভোটাররা।
সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, ‘আমি জনগণের সঙ্গে দীর্ঘ ১০ বছর কাজ করছি। আমি তাদের সঙ্গে কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করিনি, চাঁদাবাজি করিনি, মানুষের কোনো ক্ষতি করিনি, যা করেছি জনকল্যাণে করেছি, মানুষের জন্য করেছি। আমি চাই আগামী ৫ বছর ভোটাররা আমাকে সুযোগ দেবেন।’
আইভী বলেন, ‘প্রচারে আমার সঙ্গে তো কোনো সংসদ সদস্য নেই। আমার সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা আছেন। এমপিরা তাদের নিয়ম মেনে কাজ করছেন।’
গত দুই বারের মেয়র বলেন, ‘আমার পরিকল্পনা চলমান। আমি মেয়র থাকা অবস্থায় সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতায় মানুষের চাহিদা পূরণে কাজ করেছি। আবার মেয়র হলে ভোটারদের চাহিদা পূরণে কাজ করব।’
নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে মঙ্গলবার সেলিনা হায়াৎ আইভী ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আইভীর শোকজ নোটিশে বলা হয়েছে, নির্বাচনি বিধিমালা অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দের আগে কোনো প্রার্থী প্রচার করতে পারবেন না। তিনি বিধি না মেনে বিজয় সমাবেশের নামে সরকারদলীয় কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে মেয়র পদে ভোট চেয়েছেন- এমন অভিযোগ করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তৈমূর।
এ ঘটনার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে তার কাছে।
তৈমূরকে দেয়া নোটিশে বলা হয়েছে, তিনিও প্রতীক বরাদ্দের আগে মিছিল, সমাবেশ, পথসভায়, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে ভোট চাইছেন-এমন অভিযোগ দিয়েছেন নৌকার প্রার্থী আইভীর প্রধান নির্বাচনি এজেন্ট ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আদিনাথ বসু।
এরই মধ্যে এই শোকজের জবাব দেয়ার কথা নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন তৈমূর।
তফসিল অনুসারে ১৬ জানুয়ারি ইভিএম পদ্ধতিতে ২৭টি ওয়ার্ডে ভোট হবে রাজধানীর পাশের এই সিটি করপোরেশনে। এখানে মোট ভোটার ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৭। এর মধ্যে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৩৯ জন পুরুষ ও ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫১৭ জন নারী। তা ছাড়া চারজন ট্রান্সজেন্ডার ভোটার আছেন এই সিটিতে।
তফসিল অনুসারে ১৬ জানুয়ারি ইভিএম পদ্ধতিতে ২৭টি ওয়ার্ডে ভোট হবে রাজধানীর পাশের এই সিটি করপোরেশনে।