২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ধনী রাষ্ট্র হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সভাপতি ড. মীজানুর রহমান।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বৃহস্পতিবার এক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ আশার কথা জানান।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এ উপাচার্য বলেন, ‘আমরা উন্নয়ন করছি। পরিসংখ্যান দিয়েই অনেক কিছু বলা যায়। আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ আছি। পরিসংখ্যানের বাইরে গিয়ে আমরা সবকিছু নিজেরাই দেখতে পাচ্ছি।
‘আমরা সারা দেশের মানুষের কাপড় পরাই, গার্মেন্টস শিল্পে সে রকম উন্নয়ন আমাদের। কৃষিতেও আমাদের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন চোখে পড়ার মতো। শিক্ষার ক্ষেত্রেও আমরা পুরুষ-নারীর সমতা নিয়ে আসছি।’
শিক্ষকদের বেতন বাড়ার কথা জানিয়ে মীজানুর বলেন, ‘আমরা যদি আমাদের বেতনের কথা বলি, একজন প্রফেসরের যে বেতন দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে ছিল, সেটা ১০০ গুণ বেড়েছে। কারণ আমি যখন টিচার হিসেবে জয়েন করি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি ৭৫০ টাকা স্কেলে মোট ১১০০ টাকা বেতন পেতাম। আমার বেতন এখন ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মতো। সেভাবেই কিন্তু আমাদের চালের দাম বড় জোর ৫ গুণ বাড়ছে।’
বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে ড. মীজানুর বলেন, ‘দেশে-বিদেশে এত সমালোচনা হয়, ফেসবুকে লেখালেখি হয়৷ কেউ কি বলেছে কোনো এলাকার মানুষ না খেয়ে আছে? নেই। কারণ আমরা উন্নয়নের পথে হাঁটছি। আমরা ২০৪০ সালের মধ্যে ধনী রাষ্ট্র হব; সেটা হব ডলারের হিসাবে। সেটা আমরা অর্জন করব।’
তিনি বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। এখানে ‘মুক্তি’ শব্দটা অনেক বেশি তাৎপর্যপূর্ণ। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ যখন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু রেসকোর্স ময়দানে ভাষণ দিয়েছিলেন, সেটা কিন্তু অসম্পূর্ণ ছিল না। তিনি কিন্তু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন : এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম। পুরো ভাষণটিই এখন বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ।
“এই পুরো ভাষণের মধ্যে উনি ‘স্বাধীনতা’ শব্দটি একবার ব্যবহার করেছেন। আর ‘মুক্তি’ শব্দটা ব্যবহার করেছেন পাঁচবার। কিসের মুক্তি? মুক্তিটা ছিল শোষণমুক্তি। সামাজিক যে সমস্যাগুলো আছে, এই যে ধর্মান্ধতা, এসব কিছু থেকে মুক্তির কথা বলেছেন।”
বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের উদ্যোগে ‘মুক্তিসংগ্রামের চেতনায় সমৃদ্ধির পথে বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সেমিনার আয়োজন করা হয়।
এতে স্বাগত বক্তব্য দেন কলামিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস।