ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মাত্র তিন ঘণ্টার ব্যবধানে নিখোঁজ আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।
রাজাপুর উপজেলার বিষখালী নদীতে বুধবার বেলা সারে ১১টার দিকে অজ্ঞাতপরিচয় ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে সকাল ৯টার দিকে এক অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ নিয়ে এখন পর্যন্ত আগুনে পুড়ে যাওয়া ৪৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হল।
নিউজবাংলাকে মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার ফাইটার আল আমিন।
ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘রাজাপুর উপজেলার বড়ইয়া এলাকায় বিষখালী নদীর তীরে যুবকের মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা দড়ি দিয়ে বেধে রেখে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুনে পোড়া যুবকের মরদেহ তুলে ঝালকাঠি লঞ্চ টার্মিনালে নিয়ে আসা হয়। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ৪৪ জনে দাঁড়ালো।’
উদ্ধার যুবকের মানিব্যাগে এ ছবিটি পাওয়া গেছে। ছবি: নিউজবাংলা
তিনি আরও বলেন, ‘উদ্ধার যুবকের বয়স আনুমানিক ৩০ বছর। তার পড়নে কালো রঙের জিন্সের প্যান্ট এবং গোল গলার একটি গেঞ্জি ছিল।
‘তার মানিব্যাগে একটি ছবি পাওয়া গেছে। তবে ছবিটি কার তা এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।’
ঝালকাঠির পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকায় সুগন্ধা নদীতে ২৩ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চ আগুনে পুড়ে যায়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৬ জন নিখোঁজ থাকার তথ্য রয়েছে।
পুড়ে যাওয়া লঞ্চটিতে কতজন যাত্রী ছিল, তার সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) বলছে, লঞ্চটিতে অন্তত ৪০০ যাত্রী ছিল।
তবে লঞ্চ থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের অনেকের দাবি, নৌযানটিতে যাত্রী ছিল ৮০০ থেকে এক হাজারের মতো।