সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে তদন্ত সংস্থাকে এর আগে ৮৪ বার সময় দেয়া হয়েছিল। প্রায় ১০ বছরে দফায় দফায় সময় নিয়েও তদন্ত সংস্থা ব্যর্থ হয়েছে আলোচিত এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিতে।
তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়ার জন্য আগামী ২৪ জানুয়ারি ৮৫তম তারিখ ঠিক করেছে আদালত।
রোববার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তারিখ ঠিক করা ছিল। তদন্ত সংস্থা র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবারও তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিতে ব্যর্থ হয়। ফলে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিতে নতুন তারিখ ঠিক করেন।
শেরেবাংলা নগর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক জালাল উদ্দিন বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন।
র্যাব মামলাটির তারিখ পরিবর্তনে আবেদন করেছে কি না তা জানাতে পারেননি তিনি।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনিকে নিজ বাসায় হত্যা করা হয়।
রুনির ভাই নওশের আলম রোমান পরের দিন শেরেবাংলা নগর থানায় হত্যা মামলা করেন। প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার একজন উপপরিদর্শক (এসআই)। চার দিন পর চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।
দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে হত্যার রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয় ডিবি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলার তদন্তভার র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
খুনের পর প্রায় ১০ বছর সময়েও তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি সংস্থাটি।
সাগর-রুনি হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন আসামি আটজন। তারা হলেন বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু, কামরুল হাসান অরুন, পলাশ রুদ্র পাল, তানভীর ও আবু সাঈদ। তাদের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছেন তদন্তকারীরা।