বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৮৩৬ ইউপিতে চলছে ভোট

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৬ ডিসেম্বর, ২০২১ ০৮:০১

বেশির ভাগ ভোটকেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ ভোট চলছে। সকাল থেকেই ভোটারের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। পুরুষ ভোটারের চেয়ে নারী ভোটারের সংখ্যা বেশি।

চতুর্থ ধাপে দেশের ৮৩৬টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে।

রোববার সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোট চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

নিউজবাংলার প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, বেশির ভাগ ভোটকেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ ভোট চলছে। সকাল থেকেই ভোটারের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। পুরুষ ভোটারের চেয়ে নারী ভোটারের সংখ্যা বেশি।

এই নির্বাচন ঘিরে আগে থেকেই সহিংসতা ছড়িয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। প্রচার ও মাঠ দখলের লড়াইয়ে ঘটেছে প্রাণহানির ঘটনাও। এমন প্রেক্ষাপটে আশঙ্কা নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যেতে হচ্ছে ভোটারদের।

২৩ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপের এ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। পরে তা তিন দিন পেছানো হয়।

গত ১০ নভেম্বর ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ৮৪০টি ইউপিতে ভোট হওয়ার কথা থাকলেও চারটিতে স্থগিত রয়েছে। এ ধাপের নির্বাচনে ৩৮টি ইউপিতে ইভিএমে ভোট হবে। বাকিগুলোয় ভোট নেয়া হবে ব্যালটের মাধ্যমে।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) যুগ্ম সচিব (জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামান আরজু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ ধাপে ৮৩৬টি ইউপিতে ভোট হবে। ভোটকেন্দ্রের সার্বিক নিরাপত্তা ও সার্বিকভাবে সুষ্ঠু ভোটের জন্য এরই মধ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।’

এ ধাপে মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন ছিল ২৫ নভেম্বর। ২৯ নভেম্বর হয় মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ছিল ৬ ডিসেম্বর। পরে ৭ ডিসেম্বর প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়।

শুক্রবার মধ্যরাতে সব নির্বাচনি এলাকায় প্রচারের সময় শেষ হয়েছে। শনিবার রাতের মধ্যে ভোটকেন্দ্রে ব্যালট পেপারসহ অন্যান্য নির্বাচনি মালামাল পাঠায় ইসি।

এর আগে তিন ধাপের ইউপি নির্বাচন ঘিরে ব্যাপক সংঘর্ষ, সহিংসতা ও প্রাণহানি হয়েছে। চতুর্থ ধাপের নির্বাচন ঘিরেও উৎসব-আমেজের পাশাপাশি ব্যাপক উৎকণ্ঠা রয়েছে। নির্বাচনি প্রচার শেষে গভীর রাতে বিভিন্ন এলাকায় সংঘাত-সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে।

নির্বাচনি পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে রাখতে মাঠে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি রয়েছেন ম্যাজিস্ট্রেট। ভোটের পরও যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেদিকে নজর রাখতে আগাম নির্দেশনাও দিয়ে রেখেছে ইসি।

পরিস্থিতি সামলে রাখতে নির্বাচন কমিশন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন এবং নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছে।

ইসি সচিবালয় সূত্রে জানা যায়, চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে ভোটের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন ২৯৫ প্রার্থী। তাদের মধ্যে ৪৮ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীও রয়েছেন।

এ ছাড়া সংরক্ষিত সদস্য পদে ১১২ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ১৩৫ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন।

এমন অবস্থায় ভোটযুদ্ধে নামছেন ৪৩ হাজার ৪৩৩ প্রার্থী। এর মধ্যে চেয়ারম্যান ৩ হাজার ৮১৪, সংরক্ষিত সদস্য ৯ হাজার ৫১৩ ও সাধারণ সদস্য ৩০ হাজার ১০৬ জন।

এর আগে প্রথম ধাপে গত ২১ জুন ২০৪ ইউপি ও ২০ সেপ্টেম্বর ১৬০ ইউপির ভোট হয়। দ্বিতীয় ধাপে ৮৪৬ ইউপির ভোট হয় ১১ নভেম্বর। তৃতীয় ধাপে ২৮ নভেম্বর এক হাজার ইউপির ভোট হয়েছে। পঞ্চম ধাপে ৭০৭ ইউপিতে ভোট হবে ৫ জানুয়ারি। ষষ্ঠ ধাপে ভোট হবে ৩১ জানুয়ারি।

এ বিভাগের আরো খবর