ফেনীর পরশুরামে যুবককে পিটিয়ে হত্যার মামলার আসামি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদ্য নির্বাচিত এক চেয়ারম্যানকে খুঁজছে পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার উপজেলার মির্জানগর ইউপিতে পিটুনিতে ওই যুবক নিহত হন। নিহত যুবকের স্ত্রীর করা মামলার এক আসামি হলেন একই ইউপির চেয়ারম্যান নুরুজ্জমান ভুট্টো।
পরশুরাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ হোসেন জানান, মামলায় মোট আসামি ছয়জন। এর মধ্যে ২ নম্বর আসামি সদ্য নির্বাচিত চেয়ারম্যান ভুট্টো। পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ভুট্টোকে খোঁজা হচ্ছে।
তিনি জানান, গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে রহিম ও জাহিদ হোসেন আরিফ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
জানা গেছে, তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন ভুট্টো। এখনো তার শপথ হয়নি। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করছেন।
নিহত শাহীন চৌধুরীর স্ত্রী ফিরোজা বেগম জানান, তার স্বামী উপজেলায় বাবুল নামের এক ব্যক্তির দোকানে চাকরি করতেন। সেখান থেকে হার্ডওয়্যারের ৭ লাখ টাকার মালামাল বাকিতে কেনেন হাসেম নামের একজন। হাসেম চেয়ারম্যান ভুট্টোর সহযোগী।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পরশুরাম উত্তর বাজারে হাসেমের সঙ্গে দেখা হলে তার কাছে টাকা চান তার স্বামী। এ সময় চেয়ারম্যান তাকে ডেকে নেন। এ সময় হাসেম, নুরুজ্জামান ভুট্টো ও তাদের সহযোগীরা তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন।
ফিরোজা জানান, পরে তার স্বামীকে সেখান থেকে উদ্ধার করে পরশুরাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তাদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।