বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হেলে পড়া ভবনগুলো ভেঙে ফেলবে সিডিএ

  •    
  • ২১ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৯:০৪

সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, ‘মঙ্গলবার সকালে আমাদের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সেই টিমে প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ শাহিনুল ইসলাম খান ছিলেন। তারা যে ভবনগুলো নির্মাণ করছে, সব অবৈধ।

হেলে পড়া ভবনগুলো ভেঙে ফেলা হবে বলে জানিয়েছেব চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস।

তিনি বলেন, ‘আমরা ওই ভবনগুলো ভেঙে ফেলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেব। প্রয়োজনে মামলা করব।’

নিউজবাংলাকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এসব কথা বলেন তিনি।

কাজী হাসান বিন শামস বলেন, ‘মঙ্গলবার সকালে আমাদের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সেই টিমে প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ শাহিনুল ইসলাম খান ছিলেন। তারা যে ভবনগুলো নির্মাণ করছে, সব অবৈধ।

‘আমাদের নির্দেশনায় স্পষ্ট উল্লেখ আছে, ব্যক্তি মালিকানা জয়গা হলেও নালা বা খাল থেকে ১৫ ফুট দূরে ভবন নির্মাণ করতে হবে। ভবনের সঙ্গে ৮ ফুট সড়ক থাকতে হবে। তারা তো নির্দেশনা ভায়োলেট (অমান্য) করছেনই, পাশাপাশি খালের যে নিরপত্তা দেয়াল, তার ওপর ভবন নির্মাণ করছেন।’

চট্টগ্রামের সদরঘাট এলাকায় সোমবার দুপুরে চারটি স্থাপনা হেলে পড়ে। কর্ণফুলি নদীর শাখা গুলজার খালে খনন কাজ শুরুর পর ভবনগুলো হেলে পড়েছে। এগুলোর মধ্যে আছে দুটি বহুতল ভবন ও দুটি মন্দির।

সদরঘাট থানার পার্বতী পুকুর পাড় এলাকায় দুপুর ১টার দিকে প্রথমে একটি ভবন হেলে পড়ে। এরপর ধীরে ধীরে ওই এলাকার মাটি দেবে গিয়ে আরও তিনটি স্থাপনা হেলে পড়ে। ঝুঁকিতে আছে খালপাড়ের আরও একাধিক ভবন।

সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী বলেন, ‘আড়াই বছর আগে সেনাবাহিনী যখন খনন কাজ শুরু করে, তখন তারা ঘোষণা করেছিল, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খালের ওপর তৈরি সব ভবন নিজ উদ্যোগে ভেঙে ফেলতে হবে। অথচ তারা গুরুত্ব দেয়নি। আর তাদের যে ভবনের পাইলিং, তাও খুব সামান্য। নয়তো কোনো ভবন হেলে পড়ার কথা না।’

নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় খালটি খনন করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। গত বছর খনন শুরুর কিছুদিন পর কাজ বন্ধ হয়ে যায়।

ওই বছরের মার্চেও খালপাড়ের একটি ভবন হেলে পড়েছিল। পরে ভবনটি ভেঙে ফেলা হয়। তখনও সংশ্লিষ্ট খালপাড়ের ভবন মালিকরা কর্তৃপক্ষের কাছে খনন বন্ধের দাবি জানিয়েছিলেন।

কিছুদিন আগে ফের কাজ শুরু করে সিডিএ। রোববার রাতেও কাজ চলেছে ওই এলাকায়।

সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, হেলে পড়া আবাসিক ভবনগুলো থেকে ইতোমধ্যে সরে গেছেন কিছু বাসিন্দা। তবে অনেকেই তাৎক্ষণিক ভবন ছাড়তে রাজি হননি। স্থানীয়দের আশঙ্কা, যেকোনো সময় বড় ধরনের ভূমিধসে একাধিক ভবন ধসে পড়তে পারে।

হেলে পড়া চার তলা ভবনের মালিক রিপন দাশ জানান, গত বছর খাল খনন শুরুর পরই তার ভবন কিছুটা হেলে পড়েছিল। ওই সময় অভিযোগও দেন তিনি। তবে কর্তৃপক্ষ তখন কোনো সাড়া দেয়নি। সম্প্রতি পুনরায় কাজ শুরুর হয়েছে। এর প্রভাবেই তার ভবন হেলে পড়তে শুরু করে।

স্থানীয় ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ জোবায়ের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলেছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।

এ বিভাগের আরো খবর