যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বাতিল করার যে খবর সংবাদমাধ্যমে এসেছে তা ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসত্য’ বলে দাবি করেছেন সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ।
সাবেক এই সেনাপ্রধানের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রের মাধ্যমে তার সঙ্গে যোগাযোগ করে নিউজবাংলা। সেই সূত্রের মাধ্যমে তিনি এ দাবি করেছেন।
এই মুহূর্তে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন তিনি। তবে কোন দেশে আছেন তা জানাননি।
গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী র্যাব এবং সংস্থাটির সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভ্রমণ ও ট্রেজারি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে এই নিষেধাজ্ঞার কথা জানায় দেশটি।
এর তিন দিন পর সংবাদমাধ্যমে খবর আসে, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের আমেরিকা প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি তার ভিসাও বাতিল করা হয়েছে।
এক চিঠিতে সাবেক সেনাপ্রধানকে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে বলেও দাবি করে সংবাদ মাধ্যমগুলো।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরায় একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জের ধরেই যুক্তরাষ্ট্র এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছিল।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে জেনারেল আজিজের আমেরিকান ভিসা বাতিলের তথ্য প্রচার করা হলেও এর কোনো সূত্র প্রকাশ করা হয়নি। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টও কোনো মন্তব্য করেনি। এমনকি জেনারেল আজিজকে চিঠি পাঠানোর দাবি করা হলেও তার বক্তব্য নেয়নি কোনো সংবাদমাধ্যম।
ঘনিষ্ঠ সূত্রের মাধ্যমে সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমেরিকার ভিসা বাতিল করার খবরটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসত্য।’
এমনকি আমেরিকার কোনো কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো ফোন বা ই-মেইল বা ডাকযোগে এ-সংক্রান্ত কোনো তথ্য বা চিঠি পাননি বলেও জানান সাবেক সেনাপ্রধান।
তিনি বলেন, ‘এটি স্বার্থান্বেষী মহলের বিশেষ উদ্দেশ্যে পরিচালিত একটি গুজব।’
সূত্রের মাধ্যমে জেনারেল আজিজ বলেন, ‘গণমাধ্যমের কাছে দায়িত্বশীল সংবাদ সবাই আশা করে। গুজবের ওপর ভিত্তি করে সংবাদ প্রচার করা অসৎ উদ্দেশ্যকেই উৎসাহিত করবে।’
জেনারেল আজিজ আহমেদ ২০২১ সালের ২৪ জুন অবসরে যান।