রাজধানীতে তিনটি আলাদা ঘটনায় তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তারা আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি স্বজনদের।
পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার রাত থেকে রোববার বিকেল পর্যন্ত এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার রাত ১০টার দিকে শান্তিনগর এলাকায় সাদিয়া ইসলাম নামে এক গৃহকর্মীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পল্টন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনিসুর রহমান বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে শান্তিনগর পীর সাহেবের গলি এলাকার ১২৫ নম্বর বাসায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় সাদিয়াকে উদ্ধার করি। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’
তিনি বলেন, ‘সাদিয়া ওই বাসার গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। রাতে তাকে একা রেখে বাসার সবাই এক আত্মীয়ের বাড়িতে যায়। পরে বাসায় এসে সাদিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায়। খবর পেয়ে আমরা এসে লাশ উদ্ধার করি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) মর্গে রাখা হয়েছে।’
উপপরিদর্শক (এসআই) আনিসুর রহমান বলেন, ‘ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত জানা যাবে। সাদিয়ার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরে।’
শনিবার রাতে রামপুরার তালতলা এলাকায় রিনবি নামে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তার মামা শহিদুল ইসলাম জানান, রিনবির স্বামী রাসেল আমেরিকায় থাকেন। মায়ের সঙ্গে পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে অভিমানে নিজের ঘরে যায় রিনবি। কিছুক্ষণ দরজা ভেঙে ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে ঝুলে আছেন।
পরে তাকে উদ্ধার করে ঢামেকে নিয়ে আসলে চিকিৎসক রাত ১টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
মুগদা মান্ডা খালপাড় এলাকায় বিদ্যুৎ নামে এক কিশোরের আত্মহত্যার জানিয়েছেন স্বজনরা।
নিহতের চাচা কালাম হোসেন বলেন, ‘আমার ভাতিজা নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করত। মুগদার খালপাড় এলাকায় ৩৫/১ পাঁচতলা ভবনের ছাদে পাইপের সঙ্গে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। পরে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, কী কারণে সে গলায় ফাঁস দিয়েছে এ বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারব না।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে প্রত্যেক থানাকে জানানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ তিনটি জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।’