বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

লেবাননে হামলায় নিহত ১, আহত ২৫

  • বাসস   
  • ২৮ জুন, ২০২৫ ১২:২৩

দেশটির দক্ষিণে শুক্রবার ইসরাইলি হামলায় একজন নারী নিহত ও অপর ২৫ জন আহত হয়েছেন। ইসরাইলি সেনাবাহিনী হিজবুল্লাহর অস্ত্রকে এই হামলার জন্য দায়ী করেছে।

লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে বৈরুত থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা শত্রুতার অবসান ঘটানোর লক্ষ্যে ২৭ নভেম্বরের যুদ্ধবিরতি পর থেকে ইসরাইল লেবাননের ওপর, বিশেষ করে দক্ষিণে নিয়মিত হামলা চালিয়ে আসছে, যার মধ্যে দুই মাসের সর্বাত্মক যুদ্ধও অন্তর্ভুক্ত। ফলে, হিজবুল্লাহ মারাত্মকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে।

সরকারি ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি (এনএনএ) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘নাবাতিয়েহের একটি অ্যাপার্টমেন্টে ইসরাইলি শত্রুর হামলায়’ এক নারী নিহত ও অপর ১৪ জন আহত হয়েছে।

এনএনএ জানিয়েছে, একটি ড্রোন অ্যাপার্টমেন্ট লক্ষ্য করে ইসরাইলি হামলা চালিয়েছে।

ইসরাইলি সামরিক মুখপাত্র আভিচায় আদ্রাই সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছেন, সেনাবাহিনী ‘কোনও বেসামরিক ভবনকে লক্ষ্যবস্তু করেনি।’

এনএনএ-এর আগে নাবাতিয়েহ অঞ্চলের আরও কয়েকটি এলাকায় ‘একের পর এক ভারী বোম হামলার’ খবর দিয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এসব হামলায় সাতজন আহত হয়েছে।

পরে শুক্রবার মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশের দক্ষিণে শাকরাতে ‘ইসরাইলি ড্রোন হামলায়’ আরও চারজন আহত হয়েছে।

ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিমানগুলো নাবাতিয়েহ ও ইসরাইলি সীমান্তের কাছে বিউফোর্ট রিজ এলাকায় হিজবুল্লাহ’র অগ্নিনির্বাপণ ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত একটি স্থানে আঘাত করেছে।

বলা হয়েছে যে, স্থানটি ‘একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূগর্ভস্থ প্রকল্পের অংশ যা অভিযানের ফলে সম্পূর্ণরূপে ব্যবহারের বাইরে’ ছিল।

সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা ‘হিজবুল্লাহ’র পুনর্বাসন প্রচেষ্টা আগে থেকেই চিহ্নিত করেছে এবং এলাকায় সন্ত্রাসী অবকাঠামোগত স্থানগুলোয় হামলা করেছে’, ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীর কর্মকাণ্ডকে ‘ইসরাইল ও লেবাননের মধ্যে বোঝাপড়ার স্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেছে।

ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর আদ্রাই বলেছেন, অগ্নি ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সাইটের ভিতরে থাকা বেসামরিক ভবনে ‘একটি রকেট আঘাত হেনেছে।

তিনি বলেন,‘লেবাননের সরকার তার ভূখণ্ডের মধ্যে যা ঘটে তার জন্য দায়ী, কারণ তারা হিজবুল্লাহর ভারী অস্ত্র ও রকেট জব্দ করেনি।’

যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে, হিজবুল্লাহকে তার যোদ্ধাদের ইসরাইলি সীমান্ত থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে ফিরিয়ে আনার কথা।

ইসরাইলকে দেশ থেকে তার সৈন্যদের সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করতে হয়। কিন্তু লেবাননের দক্ষিণে পাঁচটি স্থানে তাদের রাখা হয়েছে। তারা একে কৌশলগত বলে মনে করে।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাবের ওপর ভিত্তি করে এই যুদ্ধবিরতি করা হয়েছিল যেখানে বলা হয়েছে লেবাননের দক্ষিণে লেবাননের সৈন্য ও জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদেরই একমাত্র অস্ত্র বহন করা উচিত এবং সমস্ত অ-রাষ্ট্রীয় গোষ্ঠীর নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান জানানো হয়।

লেবাননের সেনাবাহিনী হিজবুল্লাহর অবকাঠামো ভেঙে দিচ্ছে এবং কর্তৃপক্ষ অস্ত্র বহনের ওপর রাষ্ট্রীয় একচেটিয়া অধিকারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন এক বিবৃতিতে এই হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, ইসরাইল ‘আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রস্তাব উপেক্ষা করে চলেছে।’ তিনি ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কার্যকর পদক্ষেপ’ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নওয়াফ সালাম এক বিবৃতিতে এই হামলাকে ‘জাতীয় সার্বভৌমত্বের স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং ‘শত্রুতা বন্ধের ব্যবস্থা ও স্থিতিশীলতার’ জন্য হুমকি বলে অভিহিত করেছেন।

জাতিসংঘকে লেখা এক চিঠিতে লেবাননে জাতিসংঘের অন্তর্বর্তীকালীন বাহিনীর ম্যান্ডেট এক বছরের জন্য নবায়নের অনুরোধ জানিয়ে, যা আগস্টে শেষ হচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ‘ইসরাইলের দখলকৃত সমস্ত লেবাননের ভূখণ্ড থেকে প্রত্যাহার ও চলমান লঙ্ঘন বন্ধ করার’ দাবি করেছে।

এই মাসের শুরুতে, ইসরাইল সতর্ক করে দিয়েছে যে হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্র না করা পর্যন্ত তারা লেবাননে হামলা চালিয়ে যাবে।

এ বিভাগের আরো খবর