বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পরীক্ষার হলে ছাত্রীকে ‘শ্লীলতাহানি’

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৯ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৭:১৫

লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, শনিবার অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের মান উন্নয়ন (ইমপ্রুভ) পরীক্ষা চলছিল। ওই ছাত্রী পরীক্ষা দিতে এলে জাকিরুল নানা অজুহাতে তার গায়ে হাত দেন। মেয়েটি পরীক্ষার কারণে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিবাদ না করে বাসায় চলে যান। পরে বাবাকে সব জানালে রোববার তারা কলেজ অধ্যক্ষকে জানান।

বগুড়ায় পরীক্ষার হলে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে সরকারি আজিজুল হক কলেজের এক প্রভাষকের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

তবে ওই শিক্ষক বলছেন, তিনি পরীক্ষার হলে দায়িত্ব পালন করেছেন মাত্র। অভিযোগ পুরোপুরি সত্য নয় বলে দাবি তার।

অভিযোগের বিষয়টি রোববার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে নিশ্চিত করেছেন সরকারি আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষ শাজাহান আলী।

এর আগে ওই ছাত্রীর বাবা আজিজুল হক কলেজে লিখিত অভিযোগ করেন। এর পরই অভিযুক্ত শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম জাকিরুল ইসলাম। তিনি আজিজুল হক কলেজের আরবি ও ইসলামি শিক্ষা বিভাগের প্রভাষক।

ওই ছাত্রী গাবতলী উপজেলার একটি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, শনিবার অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের মান উন্নয়ন (ইমপ্রুভ) পরীক্ষা চলছিল। ওই ছাত্রী পরীক্ষা দিতে এলে জাকিরুল নানা অজুহাতে তার গায়ে হাত দেন।

মেয়েটি পরীক্ষার কারণে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিবাদ না করে বাসায় চলে যান। বাসায় ফিরে বাবাকে সব জানালে রোববার তারা কলেজ অধ্যক্ষকে জানান।

অভিযোগ পেয়ে অধ্যক্ষ শাজাহান আলী নিজ কার্যালয় কক্ষে ওই শিক্ষক ও ছাত্রীকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবদ করেন। বেলা দেড়টা থেকে ৩টা পর্যন্ত তাকে জেরা করা হয়।

ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘আমি আমার মেয়ের শ্লীলতাহানির বিচার চাই। একজন শিক্ষক এই ধরনের কাজ অবিশ্বাস্য। আমার মেয়ের নিরাপত্তার ও ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি শঙ্কিত।’

শিক্ষক জাকিরুল ইসলাম বলেন, ‘মেয়েটির পরীক্ষার হলে বারবার পেছন ফিরে তাকাচ্ছিল। এ জন্য আমি তাকে হাত ধরে সোজা করে দিয়েছি। অভিযোগ পুরোপুরি সত্য নয়।’

অধ্যক্ষ শাহাজাহান আলী জানান, ‘মেয়েটির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছি। কমিটিতে ভাইস প্রিন্সিপাল আব্দুল কাদেরকে প্রধান করা হয়েছে। কমিটিতে আরবি ও ইসলামি শিক্ষার বিভাগীয় প্রধানসহ দুজন শিক্ষক আছেন।’

আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিটি তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন জমা দেবে বলে জানান অধ্যক্ষ শাহাজাহান আলী।

এ বিভাগের আরো খবর