রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) অর্থনীতি বিভাগের প্রধান জনি পারভীনকে অপসারণের দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন বিভাগটির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
তার বিরুদ্ধে দায়িত্বহীন, স্বেচ্ছাচারিতা, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে রোববার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে এই কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
জনি পারভীনকে বিভাগীয় প্রধান পদ থেকে অপসারণ না করা পর্যন্ত এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
তবে বিষয়টিকে অন্যায় আখ্যা দিয়ে জনি পারভীন বলেন, ‘আমি বিষয়টি ভিসি স্যারকে জানিয়েছি। তাদের এ অন্যায় মেনে নেয়া যায় না।’
নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোরশেদ হোসেন বলেন, ‘জনি পারভীন বিভাগীয় প্রধান হিসেবে যোগদান করার পর থেকে অবৈধভাবে অনুপস্থিত থাকছেন। যখন বিভাগে অনুপস্থিত থাকেন তখন তিনি জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে কাউকে দায়িত্ব দেন না। এ কারণে বিভাগ নানা সমস্যায় ভুগছে।’
তিনি অভিযোগ করেন, এমনকি দেড় বছরের বেশি সময় ধরে জনি পারভীন বিভাগে কোনো একাডেমিক কমিটির সভা করেননি। ফলে সেশনজট হয়ে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
জনি পারভীনের বিরুদ্ধে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ এনেছেন অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বেলাল উদ্দিন।
তার ভাষ্য, ‘জনি পারভীন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষকদের আপগ্রেডেশনের আবেদনের জন্য অভিজ্ঞতা সনদ অগ্রায়নের আবেদন, শ্রান্তি বিনোদনের আবেদন কর্তৃপক্ষের কাছে না পাঠিয়ে দীর্ঘদিন আটকে রেখেছেন। তার এমন কর্মকাণ্ডে শিক্ষকদের ক্যারিয়ার হুমকির মুখে পড়েছে।’
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিয়া সুলতানা বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ সেশনজটে পড়েছি। এতে করে আমাদের চাকরির বয়স শেষ হচ্ছে। কোনো উদ্যাগ নেই। এ কারণে আমরা তার অপসারণ চাই।’
এসব অভিযোগের বিষয়ে জনি পারভীন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যারা অনিয়ম করেছে, দুর্নীতি করেছে, শিক্ষার্থীদের রেজাল্ট না দিয়ে আটকে রেখেছে, তিনটি একাডেমিক মিটিংয়ে আসেনি, তারাই আজ আন্দোলন করছে।’
বিষয়টিকে অন্যায় আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি বিষয়টি ভিসি স্যারকে জানিয়েছি। তাদের এ অন্যায় মেনে নেয়া যায় না।’
এসব বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে জানাবেন বলেও জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হেনা মুস্তাফা কামাল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের লিখিতভাবে কেউ জানায়নি।’