নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে বেপরোয়া গতির ট্রাকের চাপায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সাংবাদিকতা বিভাগের এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রামপুর এলাকার নোয়াখালী-ফেনী আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ২২ বছর বয়সী সাবরিনা আক্তার মিতু সোনাইমুড়ী উপজেলার পশ্চিম রামপুরা মোল্লাবাড়ির মর্তুজা ভুঁইয়ার মেয়ে। তিনি জবির সাংবাদিকতা বিভাগে তৃতীয় বর্ষে পড়তেন।
চন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মৃদুল কান্তি কুরি ট্রাকচাপায় নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন মিতু। এ সময় বাড়ির সামনে হাইওয়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় নোয়াখালীগামী ইটবোঝাই দ্রুতগতির একটি ট্রাক মিতুকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
স্থানীয়রা তাৎক্ষণিক ট্রাকটি আটক করলেও এর চালক পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, মরদেহ উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।নিউজবাংলাকে ওসি মৃদুল কান্তি কুরি বলেন, ‘ট্রাকটি পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়েছে। চালক পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
সাবরিনা আক্তারের মামা আবিদুর রহমান জানান, সাবরিনা পরিবারের সঙ্গে ঢাকায় থাকতেন। চার-পাঁচ দিন আগে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে বেড়াতে নানার বাড়িতে আসেন । তার বাবা মর্তুজা ভূঁইয়া শুক্রবার স্ত্রী-সন্তানদের সোনাইমুড়ী পৌরসভা রামপুর এলাকার শ্বশুরবাড়িতে রেখে কর্মস্থলে ফিরে যান। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাবরিনা তার বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষায় অংশ নিতে বাড়ি থেকে বের হন। পরে রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগতির ইটবোঝাই একটি ট্রাক তাকে চাপা দেয়।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ড. আইনুল ইসলাম বলেন, ‘একজন উঠতি মেধাবী শিক্ষার্থীর এই অকাল মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার শোকাহত।’
সাবরিনার মৃত্যুতে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বিভাগের চেয়ারম্যান শাহ নিস্তার জাহান কবির বিভাগের পক্ষ থেকে শোক জানিয়েছেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক এবং ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদও তার মৃত্যুতে গভীর জানিয়েছেন।