বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খাবার নিয়ে ছাত্রলীগের ‘খবরদারি’, হল প্রাধ্যক্ষসহ ৫ জনের পদত্যাগ

  •    
  • ১৬ ডিসেম্বর, ২০২১ ০৮:০৩

জাককানইবি-এর প্রক্টর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান বলেন, ‘এরই মধ্যে হল প্রশাসন এ ঘটনায় তাদের বক্তব্য জানিয়েছে। শিক্ষক সমিতিও কয়েক দিনের মধ্যে রেজুলেশন করে মতামত জানাবে। এসব পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।’

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাককানইবি) বিজয় দিবসে খাবার আয়োজন নিয়ে ছাত্রলীগের ‘খবরদারি’ করার প্রতিবাদে হল প্রভোস্টসহ পাঁচজন পদত্যাগ করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে বুধবার বিকেলে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তারা।

তবে বিষয়টি বুধবার মধ্যরাতে জানাজানি হয়।

পদত্যাগ করা পাঁচজন হলেন, দোলনচাঁপা ছাত্রী হলের প্রভোস্ট সিরাজুম মনিরা, হাউস টিউটর আফরোজা আক্তার লিপি, ফারজানা খানম, আরিফুর রহমান এবং রাশেদুর রহমান।

বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. হুমায়ুন কবীর।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিজয় দিবসের ৫০তম সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ছাত্রীদের জন্য খাবার পরিবেশনের আয়োজন করে দোলনচাঁপা ছাত্রী হল কর্তৃপক্ষ। খাবারের জন্য পোলাওয়ের চাল ও খাসি কেনা হয়।

এ খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান রাকিবের ‘কথামতো’ খাবার আয়োজনের সব টাকা তার হাতে তুলে না দেয়ায় প্রভোস্টসহ পাঁচজনকে হুমকি দেন ও অপমান করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান রাকিব।

প্রভোস্ট সিরাজুম মনিরা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিজয় দিবস উপলক্ষে ছাত্রীদের খাবারের জন্য ৬১ হাজার টাকা ও অন্যান্য উপহারসামগ্রী জোগাড় করি। আমরা খাসি ও পোলাওয়ের চালসহ সবকিছু কিনে ফেলেছি। ছাত্রীদের খাবারের টোকেনও দেয়া হয়েছে।

‘এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতারা উত্তেজিত হয়ে বলে, খাসি ও অন্যান্য সামগ্রী বিক্রি করে তাদের হাতে পুরো টাকা তুলে দিতে হবে। ছাত্রলীগ সেক্রেটারির কথামতো না চললে কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতে পারবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এই অরাজক পরিস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করতে পারব না। তাই বিকেল পাঁচটার দিকে পদত্যাগ করে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেছি।’

তবে এই পদত্যাগ করাকে ‘বাড়াবাড়ি’ বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিব।

তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের অনুরোধে আমরা দুটি হলের খাবারের আয়োজন একসঙ্গে করতে চেয়েছিলাম। এ বিষয়ে আলাপ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা ও প্রক্টর স্যারের সামনেই হয়েছে। আমি কাউকে হুমকি দেইনি বা অপমান করিনি।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান বলেন, ‘এরই মধ্যে হল প্রশাসন এ ঘটনায় তাদের বক্তব্য জানিয়েছে। শিক্ষক সমিতিও কয়েক দিনের মধ্যে রেজুলেশন করে মতামত জানাবে। এসব পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।’

এ বিভাগের আরো খবর