বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে না যাওয়ায় ঢাবি শিক্ষার্থীকে ‘মারধর’

  •    
  • ১৪ ডিসেম্বর, ২০২১ ০১:৫২

অভিযোগ ওঠা ছাত্রলীগ কর্মীর নাম সিফাত উল্লাহ সিফাত। তিনি উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী। ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় ২০১৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার হওয়ায় তিনি এখন দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছেন।

পরীক্ষার কারণে ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে অংশ না নেয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার দ্য সূর্যসেন হলের ৩৫১ নম্বর কক্ষে সোমবার সন্ধ্যায় মারধরের এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেছেন ফ্রেঞ্চ ল্যাংগুয়েজ অ্যান্ড কালচার বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী কাজী পরশ মিয়া।

অভিযোগ ওঠা ছাত্রলীগ কর্মীর নাম সিফাত উল্লাহ সিফাত। তিনি উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী। ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় ২০১৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার হওয়ায় তিনি এখন দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছেন।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে কাজী পরশ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার ছাত্রলীগের একটি প্রোগ্রাম ছিল। সিফাত ভাই আমাকে সেই প্রোগ্রামে উপস্থিত থাকতে বলেন, কিন্তু আমার সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা থাকায় আমি যেতে পারিনি।

‘আজকে উনার রুমমেট (মাহমুদ অর্পন) আমাকে বলেন, আমার কাছে সি-টাইপ চার্জার আছে কি না। আমি বলেছি, আছে ভাই, আমি আপনার রুমে নিয়ে আসছি।’

পরশ আরও বলেন, ‘চার্জার নিয়ে আমি আজকে সন্ধ্যায় উনার ৩৫১ নম্বর রুমে যাই। এ সময় সেখানে সিফাত ভাই ছিলেন। তিনি আমাকে বলেন, তুই বস, আমি ওয়াশরুম থেকে আসছি। ওয়াশরুম থেকে এসে আমি প্রোগ্রামে কেন যাইনি জানতে চেয়ে আমার মা-বাবাকে নিয়ে গালাগাল করে আমার শার্টের কলার ধরে চড়-থাপ্পড় দেয়া শুরু করেন।

‘ওই সময় আমি যার জন্য চার্জার নিয়ে গেছি, তিনি সিফাতকে আটকান। সেই ভাই বলেন, পরশ আমার কাজে আসছে, তুই এখন তাকে মারতে পারস না। অন্য সময় মারিস। এটা বলে সেই ভাই আমাকে পাঠিয়ে দেন।’

এ ঘটনায় তিনি প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানীর কাছে লিখিত অভিযোগ দেবেন বলেও জানান।

সিফাতের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ অবশ্য নতুন নয়। সবশেষ গত ৮ নভেম্বর হল ছাত্রলীগের দুই কর্মীকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে মারধর করেন তিনি। পরে এ ধরনের কাজ আর করবেন না বলে তাদের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন।

সেই ঘটনার এক মাস পার না হতেই তার বিরুদ্ধে ফের মারধরের অভিযোগ উঠল।

এর আগে শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় ২০১৮ সালে সিফাতকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। সেই সময় ছাত্রলীগ থেকেও তাকে বহিষ্কার করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিষ্কারাদেশের মেয়াদ শেষ হওয়ায় সম্প্রতি ছাত্রলীগও দল থেকে তার বহিষ্কারাদেশ তুলে নেয়।

হল ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা জানান, সিফাত ক্যাম্পাসে হল ছাত্রলীগের উপদপ্তর সম্পাদক ইমরান সাগরের ছোট ভাই বলে পরিচিত। ইমরান সাগর ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের অনুসারী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের ২০১৫-২০১৬ সেশনের ছাত্র।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে সিফাতকে প্রথমবার ফোন দেয়া হলে তিনি ধরেননি। পরে তিনি নিউজবাংলার প্রতিবেদকের ফোন নম্বর ব্লক করে দেন।

এ বিষয়ে ক্যাম্পাসে সিফাতের ‘বড় ভাই’ হিসেবে পরিচিত ইমরান সাগর বলেন, ‘সিফাত আমার সঙ্গে রাজনীতি করে না। এর সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। সে তার মতো করেই হলে থাকে। আর কোনো শিক্ষার্থী যদি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়, তাহলে আমি সে শিক্ষার্থীর পক্ষে থাকব।’

সূর্যসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মকবুল হোসেন ভূঁইয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঘটনাটি আমি শুনেছি। সেই রুমে আমি হাউস টিউটরকে পাঠিয়েছি। ঘটনার সত্যতা পেলে নিয়ম অনুযায়ী সেই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর