শিশু মুক্তিযোদ্ধা কী জীবনেও শুনিনি বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
রোববার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে পতাকা মিছিল শেষে আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
তারেক রহমান শিশু মুক্তিযোদ্ধা- দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন মন্তব্যের সমালোচনা করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘শিশু মুক্তিযোদ্ধা বলে কিছুই নেই। আমি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী, আমার জীবনে শুনিনি শিশু মুক্তিযোদ্ধা কী।’
ঢাকা-১২ নির্বাচনি এলাকার মানুষের অংশগ্রহণে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
১২ ডিসেম্বর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে খালেদা জিয়াকে মুক্তিযোদ্ধা ও তারেক রহমানকে শিশু মুক্তিযোদ্ধা আখ্যা দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেখানে তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া একজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে বন্দি ছিলেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আরেকজন মুক্তিযোদ্ধা, তিনি শিশু মুক্তিযোদ্ধা। তিনি তখন মায়ের সঙ্গে ছিলেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমি যতদূর জানি, খালেদা জিয়া বাইরে ছিলেন, সহজেই ভারতে যেতে পারতেন। জিয়াউর রহমান ওনাকে ভারতে যেতে বলেছিলেন। কিন্তু তিনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেননি ভারত যেতে, তিনি ক্যান্টনমেন্টে থাকাকে নিরাপদ মনে করেছেন। ক্যান্টনমেন্টে থাকলে অন্য কিছু হওয়া যায়, কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা হওয়া যায় না।’
এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার নিন্দা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘তারা মুক্তিযুদ্ধকে বানচাল করার জন্য সপ্তম নৌবহর পাঠিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধে যে ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছেন, সেটা কী মানবতাবিরোধী ছিল না। সে দিন এই আমেরিকার মানবতাবাদীরা কোথায় ছিলেন।’
যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘যাদের দেশের প্রেসিডেন্ট ঘোষণা দেন নির্বাচনে হেরে গেলে ফল মানব না। আমাদের দেশে তো ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে হেরেও কেউ এই কথা বলেন না।’
সভাপতির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক, মাহাবুব উদ্দীন আহমদ বীরবিক্রম, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান মতিউর রহমান।