ধর্ষণ মামলায় নারায়ণগঞ্জের রয়্যাল রিসোর্টের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাক্ষ্য নেয়ার জন্য হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল ইসলামকে আদালতে আনা হয়েছে।
কঠোর নিরাপত্তায় সোমবার সকাল ১০টার দিকে কাশিমপুর কারাগার থেকে মামুনুলকে আদালতে আনা হয়।
সাড়ে ১০টার দিকে তাকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে তোলা হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রকিবুদ্দিন আহমেদ নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সোমবার থেকে জান্নাত আরা ঝর্ণার করা ধর্ষণ মামলার সাক্ষীদের সাক্ষ্য নেয়া শুরু হবে। সোনারগাঁয়ের রয়্যাল রিসোর্টের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ চারজন এদিন সাক্ষ্য দেবেন।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, ‘মামুনুলকে আনায় আদালত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আগের দিন মামুনুলের অনুসারীরা আদালত এলাকায় ভীড় করায় এবার ফটকের ভেতর কাউকে ঢুকতে দেয়া হয়নি।’
এর আগে ২৪ নভেম্বর বিচারক নাজমুল হাসান শ্যামলের আদালতে জবানবন্দি দেন ঝর্ণা।
তিনি জানান, মামুনুল তার স্বামীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। সেখান থেকেই তাদের মধ্যে পরিচয়। পরে স্বামীর সঙ্গে বিয়েবিচ্ছেদ হলে মামুনুল তাকে ঢাকায় একটি বাসায় রাখতেন এবং নানা জায়গায় নিয়ে গিয়ে শারীরিক সম্পর্কে জড়াতেন।
গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়্যাল রিসোর্টে জান্নাত আরা ঝর্ণার সঙ্গে একান্তে সময় কাটানোর সময় স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়েন মামুনুল। শুরুতে তিনি ঝর্ণাকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করলেও পরে জানা যায়, ওই নারীর সঙ্গে তার বিয়ের কোনো সম্পর্ক নেই।
এরপর ৩০ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় মামুনুলের নামে ধর্ষণ মামলা করেন ঝর্ণা। এতে তিনি অভিযোগ করেন, মামুনুল বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে দুই বছর ধরে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়েছেন। বিয়ে করবেন বলে আর করেননি।
এই মামলার আগেই ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে মামুনুলকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার একটি দল। এরপর সহিংসতার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা হয়।
ঝর্ণার মামলার পর তাকে এই মামলাতেও গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। গত ৩ নভেম্বর ধর্ষণ মামলায় মামুনুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত।