বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে নিজের মুখে জুতা মারতে বাধ্য করার অভিযোগ

  •    
  • ১১ ডিসেম্বর, ২০২১ ০১:১৯

হোসাইনের ভগ্নিপতি মোমিনুর রহমান জানান, এই ঘটনার পর তার শ্বশুর মানসিক কষ্টে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি বারবার জিজ্ঞাসা করেন তার ছেলে কী অপরাধ করেছেন? এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন তারা তাকে যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তিনি মারা যান।

ঝিনাইদহের মহেশপুরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাবার সামনেই এক যুবককে নিজের মুখে নিজের জুতা মারতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর মানসিক কষ্টে শুক্রবার যশোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই যুবকের বাবা মারা যান বলে দাবি করেছেন স্বজনরা।

বুধবার মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত আরিফুজ্জামান বিপাশ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি।

মঙ্গলবার রাতে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হন উপজেলার যাদবপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দিন। তার ছেলে এস এম সরকার হোসাইন ঢাকায় চাকরি করেন। আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে এলাকায় পরিচিত হোসাইন বাবার অসুস্থতার খবর পেয়ে হাসপাতালে আসেন।

অভিযোগ উঠেছে, পরদিন রাত ১২টার দিকে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুজ্জামান বিপাশ তার তিন কর্মীকে নিয়ে হাসপাতালে আসেন। তারা এসে হোসাইনের বাবার পাশে তাকে বসে থাকতে দেখে তার ওপর চড়াও হন। তাদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে লেখা নিয়ে ক্ষুব্ধ হন। এ সময় এস এম সরকার তাদের আক্রমণাত্মক পরিস্থিতি দেখে ক্ষমা চান। একপর্যায়ে পায়ে ধরেও ক্ষমা ভিক্ষা চান। এরপরও ছাত্রলীগ সভাপতি নিজের পায়ের জুতা খুলে এগিয়ে দিয়ে হুকুম দেন নিজের মুখে জুতার বাড়ি মারতে। উপায় না দেখে হোসাইন নিজের মুখে জুতা দিয়ে বাড়ি মারেন।

হোসাইনের ভগ্নিপতি মোমিনুর রহমান জানান, এই ঘটনার পর তার শ্বশুর মানসিক কষ্টে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি বারবার জিজ্ঞাসা করেন তার ছেলে কী অপরাধ করেছেন? এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন তারা তাকে যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তিনি মারা যান।

এস এম সরকার ওরফে হোসাইন বলেন, ‘জুতা মারার দৃশ্যটি দেখলেই বুঝতে পারবেন, আমার ওপর কী অত্যাচার করা হয়েছে।’

এর বেশি কিছু তিনি নিউজবাংলাকে বলতে পারেননি, ফোনে শুধু কান্নাকাটি করেছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুজ্জামান বিপাশ বলেন, ‘আপনারা ঘটনা যা শুনছেন বিষয়টি তা নয়। হোসাইন আমাদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে নানা কথাবার্তা লিখত। তার বাবার অসুস্থতার কথা শুনে আমরা তাকে দেখতে যাই। সে তার ভুল বুঝতে পেরে আমার কাছে ক্ষমা চেয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমি তাকে জুতা মারতে বলব কেন? সে নিজেই আমাকে জুতা মারতে বলে। আমি না মারলে সে নিজে নিজে এটা করেছে।’

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রানা হামিদ বলেন, ‘বিষয়টি আমরাও শুনেছি। ঘটনা সত্যি হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। ’

এ বিভাগের আরো খবর