বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খালেদার আচরণ কোন সভ্য দেশের নেতার ছিল: ফখরুলকে কাদের

  •    
  • ১০ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৬:৪১

‘২১ আগস্ট রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে যখন শেখ হাসিনাকে প্রাইম টার্গেট করে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল বিএনপি, তখন সংসদে দাঁড়িয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী (বেগম খালেদা জিয়া) বলেছিলেন, ওনাকে (শেখ হাসিনা) আবার কে মারতে যাবে? উনি নিজেই তো ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে গিয়েছিলেন। আমরা ফখরুল সাহেবের কাছে জানতে চাই, সেটা কোন সভ্য দেশের নেতার বক্তব্য ছিল?’

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অতীতের নানা বক্তব্য, কর্মকাণ্ড দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদের। সেই বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডগুলো কোন সভ্য দেশের, সভ্য দলের নেত্রীর ছিল- সেই জিজ্ঞাসা তুলে ধরেছেন তিনি।

শুক্রবার রাজধানীতে সরকারি বাসভবনে এক ব্রিফিংয়ে বিএনপি নেতার প্রতি নানা প্রশ্ন তুলে ধরেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

আগের দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, কোনো সভ্য দেশের নেত্রীর মুখে এমন বক্তব্য আশা করা যায় না।

জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা ফখরুল সাহেবকে এ কথা বলার আগে আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখার অনুরোধ করছি।’

‘২১ আগস্ট রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে যখন শেখ হাসিনাকে প্রাইম টার্গেট করে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল বিএনপি, তখন সংসদে দাঁড়িয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী (বেগম খালেদা জিয়া) বলেছিলেন, ওনাকে (শেখ হাসিনা) আবার কে মারতে যাবে। উনি নিজেই তো ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে গিয়েছিলেন। আমরা ফখরুল সাহেবের কাছে জানতে চাই, সেটা কোন সভ্য দেশের নেতার বক্তব্য ছিল?’

বুধবার যুবলীগের এক আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এরা আমাদের কাছ থেকে কী আশা করে? আমরা যতটুকু দিয়েছি, তাকে যে বাসায় থাকতে দিয়েছি, তাকে যে ইচ্ছেমতো হাসপাতালে নিচ্ছে, চিকিৎসা করাচ্ছে- এটাই কি যথেষ্ট না? এটাই কি অনেক বড় উদারতা আমরা দেখাইনি? সেটা তো দেখিয়েছি, আর কত? ১৯৪৪ সালে যদি তার জন্ম হয়, তাহলে তার বয়স কত? সেটাও তো দেখতে হবে।’

তার পরদিন ফখরুল বলেন, “কী দুর্ভাগ্য আমাদের! জোর করে ক্ষমতা দখল করে দেশ চালাচ্ছেন। তিনি বলছেন, ‘অনেক মানবতা দেখিয়েছি। আর কত মানবতা দেখাব।’ এটা কোনো সভ্য দেশের নেতার কাছ থেকে আশা করা যায় না।”

এর জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা জানতে চাই, সন্তানের মৃত্যুর পর বেগম জিয়াকে সান্ত্বনা দিতে বঙ্গবন্ধুকন্যা ও দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন গিয়েছিলেন, তখন কারা দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলেন? সেই অমানবিক ও অসভ্য আচরণ কোন সভ্য দেশের একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান করতে পারেন? এর জবাব বিএনপি মহাসচিবের কাছে জানতে চাই।

‘গণভবনে চায়ের আমন্ত্রণের বিপরীতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ কোনো সভ্য দেশের একজন দলপ্রধান করতে পারেন? তার জবাবও কি বিএনপি মহাসচিব দিতে পারবেন?’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিবকে সম্মানের সঙ্গে নিজের দিকে তাকাতে বলি। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে জনগণের ভোটের সঙ্গে প্রতারণা করে যিনি সংসদে যান না, অথচ তার দল সংসদে- এমন দ্বিচারিতার রাজনীতি কে করেছে? কোন সভ্য দেশের রাজনৈতিক দল এটা করতে পারে? আশা করি জবাব দেবেন।’

১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার দিনকে খালেদা জিয়ার ‘মিথ্যা’ জন্মদিন পালনেরও সমালোচনা করেন সড়ক মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মূল কারিগর এবং বেনিফিশিয়ারি যারা, যারা শেখ হাসিনাকে বারবার হত্যার চেষ্টা করল, গ্রেনেড হামলা চালাল তাকে হত্যার উদ্দেশে, ১৫ আগস্ট জন্মদিন না হওয়া সত্ত্বেও বেগম জিয়ার ভুয়া জন্মদিন পালন কোন সভ্য দেশে সম্ভব, ফখরুল সাহেব জবাব দেবেন কী?’

এত কিছুর পরেও শেখ হাসিনা উদারতা দেখিয়েছেন বলে মনে করেন ওবায়দুল কাদের। বলেন, ‘যাদের হাত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের রক্তে রঞ্জিত, সেই দল বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্য মানবিকতার সর্বোচ্চ নজির দেখিয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্বাহী আদেশে বেগম জিয়ার শাস্তি স্থগিত করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বাসায় বসে নিজের পছন্দমতো হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন।’

‘তাহলে বলুন, এ দেশের রাজনীতিতে কে মানবিকতার নজির স্থাপন করেছেন? আর কারা রাজনীতিতে শিষ্টাচারহীনতা, অশালীনতার চর্চা করে যাচ্ছে’- ফখরুলের কাছে আরেক প্রশ্ন রাখেন তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর