বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে উসকানি ছিল তাদের: র‍্যাব

  •    
  • ১০ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৩:২৭

খন্দকার আল মঈন জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের উসকানি ও অপপ্রচারের জন্য টেলিগ্রামসহ বিভিন্ন ক্লোজ গ্রুপ রয়েছে। নাশকতা ও জ্বালাও পোড়াও সংগঠিত করতে উসকানি দিতো। এই চক্রের একজন ছাত্রশিবিরের রাজনীতর সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেছেন।

দেশ জুড়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে উসকানি দেয়াসহ রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচারের অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর স্বামীবাগের মিতালী স্কুল গলি রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, ওয়ায়েজ কুরুনী, তাওহীদুল ইসলাম, গাজী সাখাওয়াত ও হাবিবুর রহমান নামের ওই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-৩।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা, ল্যাপটপ, পোর্টেবল হার্ডডিস্ক, দেশবিরোধী নাশকতা ও উসকানিমূলক লিফলেট জব্দ করেছে বলে জানায় সংস্থাটি।

র‍্যাবের দাবি, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা স্বীকার করেছেন, তারা রাষ্ট্রবিরোধী চক্রান্ত ও নাশকতায় উসকানির কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন।

শুক্রবার দুপুরে কারওয়ান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের উসকানি ও অপপ্রচারের জন্য টেলিগ্রামসহ বিভিন্ন ক্লোজ গ্রুপ রয়েছে। নাশকতা ও জ্বালাও পোড়াও সংগঠিত করতে উসকানি দিতেন। এই চক্রের একজন ছাত্রশিবিরের রাজনীতর সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে আল মঈন জানান, র‍্যাবের সাইবার মনিটরিং সেল নিয়মিত সাইবার পেট্রোলিং করে। সেখানেই অনলাইনে রাষ্ট্রবিরোধী, রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন সংবেদনশীল বিষয়ে মিথ্যা এবং অতিরঞ্জিত তথ্য ছড়িয়ে দিতেন তারা। বিষয়টি র‍্যাবের মনিটরিং সেলের নজরে আসলে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল তাদের।

গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে উদ্ধারকৃত আলামত বিশ্লেষণ এবং জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে তিনি জানান, সরকারের উন্নয়নের ধারাকে বাধা দিতে ও রাষ্ট্রের শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করতে তারা অপপ্রচার ও যষযন্ত্র করছিলেন।

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা দেখেছি এসব কাজ করতে তারা বিভিন্ন ইস্যুসহ সাম্প্রতিক সময়ে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনকে পুঁজি করে নাশকতার অপচেষ্টা শুরু করে।’

এ জন্য তারা বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ক্লোজড গ্রুপ করে সংগঠিত হচ্ছিল এবং পেইজ ও গ্রুপের মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালনায় অর্থ সংগ্রহ করতেন বলে জানান মঈন।

গ্রেপ্তার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ও তাওহীদুল ইসলামের নামে বিভিন্ন থানায় রাষ্ট্রবিরোধী, নাশকতা, সন্ত্রাসবিরোধী এবং বিস্ফোরক আইনে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানানো হয়।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয় পাশ করেছেন। তারা নিয়মিত জায়গা পরিবর্তন করতেন। তাদের এই কর্মকাণ্ডের জন্য দেশ ও দেশের বাইরে থেকে অনেকেই অর্থ জোগান দিত। আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ শিকার করেছেন, তিনি আগে ছাত্রশিবির করতেন। বাকিরা রাজনৈতিক মতাদর্শের কথা স্বীকার করেননি।’

এ বিভাগের আরো খবর