চলচ্চিত্রের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে সিনেমা হলগুলোর জন্য গঠিত এক হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের ঋণ সীমা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে সিনেমা হল সংস্কার, আধুনিকায়ন ও নতুন হল নির্মাণে সর্বোচ্চ ১০ কোটি টাকা ঋণ দেয়া হবে, যা আগে ছিল পাঁচ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়।
এতে বলা হয়েছে, নতুন সিনেমা হল নির্মাণ এবং বিদ্যমান সিনেমা হল সংস্কার ও আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে এই স্কিমের আওতায় সর্বোচ্চ ১০ কোটি টাকা ঋণ সুবিধা পাওয়া যাবে।
একই ভবনে একটি কোম্পানি ব্যক্তি মালিকানাধীন (একক বা যৌথভাবে) সিনেপ্লেক্স যত সংখ্যক স্ক্রিনবিশিষ্ট হোক না কেন সেটি আলোচ্য পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের আওতায় ঋণ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে একটি ইউনিট হিসেবে বিবেচিত হবে।
নতুন একটি ইউনিট স্থাপনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১০ কোটি টাকা এবং বিদ্যমান একটি ইউনিট সংস্কারের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পাঁচ কোটি টাকা ঋণ সুবিধা দেয়া হবে। তবে আগে ঋণ চাহিদার বিষয় সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের দ্বারা যাচাই করে নিশ্চিত হতে হবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, ঋণ সুবিধার ক্ষেত্রে একটি সিনেমা হল বা সিনেপ্লেক্সের আসন সংখ্যা ন্যূনতম ১০০ হতে হবে। ভাড়া করা বা ইজারা করা স্থাপনায় বিদ্যমান বা নির্মিতব্য সিনেমা হল কিংবা সিনেপ্লেক্সের মালিকপক্ষের সঙ্গে ভবন মালিকের ভাড়া বা ইজারা চুক্তির মেয়াদ প্রদেয় ঋণ পরিশোধের জন্য নির্ধারিত মেয়াদের চেয়ে কমপক্ষে পাঁচ বছর বেশি হতে হবে।
এর আগে ১৪ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী সিনেমা হল, সিনেপ্লেক্স সংস্কার ও নতুন নতুন সিনেমা হল, সিনেপ্লেক্স নির্মাণের উদ্দেশ্যে পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের আওতায় স্বল্প সুদে বিতরণযোগ্য ঋণের ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
এতে পাঁচ শতাংশ সুদহারে বিভাগীয় অঞ্চল এবং এর বাইরের এলাকার জন্য সাড়ে চার শতাংশ সুদ নির্ধারণ করা হয়েছিল। আর এই ঋণ শোধ করা যাবে আট বছর পর্যন্ত। তবে ঋণ গ্রহণের প্রথম বছরে ঋণ পরিশোধে ছাড় মিলবে।