বর্তমান সরকার অন্যায়ের ভারে নুয়ে পড়েছে বলে মনে করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। বলেছেন, এই ধরনের সরকার পতনে আন্দোলন লাগে না।
বৃহস্পতিবার বনানীর কার্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন। কিশোরগঞ্জের তাড়াইল ও করিমগঞ্জ উপজেলার আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই শতাধিক নেতা-কর্মী এই আনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন।
জি এম কাদের বলেন, `যে সরকার অন্যায়, অবিচার, অনাচার, দুর্নীতি, দুঃশাসনের ভারে ক্রমেই ভারী হতে থাকে, সেই সরকারকে হটাতে আন্দোলনের প্রয়োজন হয় না। ওই ভারেই তাদের নুয়ে পড়তে হয়। বর্তমান সরকারের হয়েছে সেই অবস্থা।‘
আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে ‘অচল মুদ্রা’র এপিঠ আর ওপিঠ উল্লেখ করে জাপা নেতা বলেন, ‘এই মুদ্রায় আর লেনদেন চলবে না। দেশের রাজনীতিতে পরিবর্তন এখন অপরিহার্য।’
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ এখন কোনোভাবেই ভালো নেই। তারা চরম হতাশায় ভুগছে। এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের জন্য বিকল্প রাজনৈতিক শক্তির উত্থান ঘটানো ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। এখন জাতীয় পার্টিই হচ্ছে দেশের মানুষের প্রত্যাশিত সেই রাজনৈতিক শক্তি।‘
দলের মহাসচিব মুজিবুল চুন্নুর সভাপতিত্বে সভায় যোগদানকারী নেতাদের জাতীয় পার্টিতে স্বাগত জানান জি এম কাদের। বলেন, ‘ক্ষমতাহীনভাবে ৩১ বছর ধরে টিকে থাকা আমাদের পার্টির প্রতি মানুষের আস্থা অর্জিত হয়েছে বলেই দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে বিভিন্ন দল থেকে নেতা-কর্মীরা জাতীয় পার্টিতে যোগদান করছেন।
‘আমাদের কল্যাণকামী রাজনীতিকে যদি প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম প্রবাহিত করতে পারি, তাহলেই জাতীয় পার্টি টিকে থাকবে এবং জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ঘটবে। আজকের মতো যোগদান অব্যাহত থাকলেই জাতীয় পার্টি নতুন দিনে নতুন সূর্য হয়ে মানুষের মনে আলো ছড়াবে।’
সভায় যোগদানকারী নেতাদের মধ্যে হলেন তাড়াইল উপজেলা চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া শাহীন, করিমগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আসমা আক্তার, তাড়াইল উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নার্গিস সুলতানা, তাড়াইল উপজেলার আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া, করিমগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আমজাদ হোসেন খান দিদার, আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুজ্জামান প্রমুখ।