বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফসলি জমিতে হেলিকপ্টার নামালেন চেয়ারম্যান প্রার্থী

  •    
  • ৭ ডিসেম্বর, ২০২১ ২২:৪০

ফেসবুক লাইভে দেখা গেছে, তাজুলকে বহনকারী হেলিকপ্টার জমিতে ল্যান্ড করার সঙ্গে সঙ্গেই সমর্থকরা নানা স্লোগান দিয়ে তাকে বরণ করতে জমিতে জড়ো হতে থাকেন। সেইসঙ্গে উৎসুক মানুষও হেলিকপ্টার দেখতে সেখানে হাজির হন। জমির ফসল রক্ষায় কয়েকজনকে এদিক ওদিক থেকে লোকজনকে সরানোর চেষ্টা করতে দেখা যায়। 

কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে হেলিকপ্টারে চড়ে ফসলি জমিতে নেমেছেন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম। কৃষক অভিযোগ করেছেন, এতে তার ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে চেয়ারম্যান পরে ওই কৃষকের বাড়ি গিয়ে এর জন্য ক্ষতিপূরণ দেয়ার আশ্বাস দেন।

পুরো ঘটনাটি ফেসবুক লাইভে দেখা গেছে। ঘটনাটি মঙ্গলবার দুপুরের। উপজেলার কাটখাল ইউনিয়নের বাজারের পাশের ওই জমি থেকে লাইভ করছিলেন তাজুল ইসলামের বন্ধু গাজী আবুল হোসাইন।

তাতে দেখা গেছে, তাজুলকে বহনকারী হেলিকপ্টার জমিতে ল্যান্ড করার সঙ্গে সঙ্গেই তার সমর্থকরা নানা স্লোগান দিয়ে তাকে বরণ করতে জমিতে জড়ো হতে থাকেন। সেইসঙ্গে উৎসুক মানুষও হেলিকপ্টার দেখতে সেখানে হাজির হন।

জমির ফসল রক্ষায় কয়েকজনকে এদিক ওদিক থেকে লোকজনকে সরানোর চেষ্টা করতে দেখা যায়।

তাজুল সেখান থেকে যাওয়ার পর ভিডিওতে নিজেকে জমির মালিক দাবি করে এক যুবক ফসলের ক্ষতির অভিযোগ তুলেন; ক্ষতিপূরণও দাবি করেন।

ওই যুবকের নাম ছাইদুল ইসলাম। তার সঙ্গে যোগযোগ করা যায়নি। তবে তার বাবা আবদুল মালেক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হেলিকপ্টার নামার সময় মানুষের ভিড়ে আমার জমির ক্ষতি হয়েছে ঠিকই। এইক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের জন্য আমার পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো আপত্তি নাই। আমার জমির ক্ষতি হওয়ার পরে চেয়ারম্যান নিজে আমার বাড়িতে এসেছে, এতেই আমি খুশি। আমার আর ক্ষতিপূরণের প্রয়োজন নাই।’

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমেরিকা থেকে আমার ফুফু, ফুফা আর ফুফাতো বোন অনেকদিন পর দেশে এসেছে। তাদেরকে স্বাগত জানাতে আমি ঢাকা গিয়েছিলাম। সেখান থেকে আমি তাদের সঙ্গে হেলিকপ্টারে এসেছি।

‘গ্রামের মধ্যে হেলিকপ্টার এসেছে শুনে অনেকেই দেখতে এসেছে। এ কারণে ভিড় জমে একজন কৃষকের ফসলি জমির ক্ষতি হয়েছে। আমি তার বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করেছি।’

আসন্ন নির্বাচনের প্রচারে এটি কোনো কৌশল কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভাই নির্বাচনের সময় টুকটাক স্লোগান তো লোকজন দিবেই। তবে এখানে নির্বাচনি প্রচারের কোনো উদ্দেশ্য আমাদের ছিল না। এটা যেহেতু গ্রামাঞ্চল তাই হেলিকপ্টার আসলে লোকজন তো খানিকটা ভিড় করবেই।’

এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশ্রাফুল আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঘটনাটি আমি শুনেছি। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে আমি নির্দেশ দিয়েছি।’

এ বিভাগের আরো খবর