বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক চুক্তিতে সীমাবদ্ধ নয়: প্রধানমন্ত্রী

  •    
  • ৬ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৮:৪২

বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী দিবসে এক ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকা-দিল্লি বিস্তৃত অংশীদারত্ব এখন আরও পরিপক্ব, গতিশীল ও কৌশলগত। আর তা গড়ে উঠেছে সার্বভৌমত্ব, সমতা, আস্থা ও পারস্পরিক সম্মানের ওপর ভিত্তি করে।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক ও অংশীদারত্ব চুক্তি, সমঝোতা স্মারক আর দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতে সীমাবদ্ধ নয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, দুই দেশের সম্পর্কে এসব শুধু আনুষ্ঠানিক কাঠামো।

বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী দিবসে ভারতের দিল্লিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পাঠানো ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

দিনটি উপলক্ষে সোমবার ‘মৈত্রী দিবস: বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর’ শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্স।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের অংশীদারত্ব চুক্তি, সমঝোতা স্মারক, দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতে সীমাবদ্ধ নয়, যেটা আমাদের সম্পর্কের জন্য আনুষ্ঠানিক কাঠামো প্রদান করে। আমাদের বিস্তৃত অংশীদারত্ব এখন আরও পরিপক্ব, গতিশীল এবং কৌশলগত। আর এই অংশীদারত্ব গড়ে উঠেছে সার্বভৌমত্ব, সমতা, আস্থা ও পারস্পরিক সম্মানের ওপর ভিত্তি করে।

‘দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় করতে এখন জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং সংযোগের ওপর আরও মনোনিবেশ করা দরকার, যা দু’পক্ষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।’

নিয়মিত উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক সংযোগের কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুই দেশের বন্ধুত্বের বন্ধন আরও সুদৃঢ়, বহুমুখী ও প্রসারিত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন সরকারপ্রধান।

বৈশ্বিক করোনাভাইরাস মহামারির প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর বিধিনিষেধ সত্ত্বেও আমাদের দু’দেশের সব স্তরের সম্পর্ক স্থিতিশীল ও শক্তিশালী রয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় আমাদের মধ্যে সহযোগিতা খুব স্পষ্ট ছিল।’

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী গতিশীল অংশীদারত্ব আরও শক্তিশালী করতে ‘মৈত্রী দিবস’ উদযাপনকে উপলক্ষ হিসেবে অভিহিত করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী যে আগামী কয়েক দশক ধরে আমাদের দুই দেশের জনগণ আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং ধারণাকে বাস্তবে পরিণত করবে।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরেই বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ভিত রচিত হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানের কথা আবারও স্বীকার করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের প্রতি প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি ও তার সরকার, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারা এবং সামগ্রিকভাবে ভারতের জনগণের উদারতার কথা স্মরণ করছি। তারা বাংলাদেশের ১০ লাখ উদ্বাস্তুকে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছেন, মুজিবনগর সরকারের জন্য জায়গা দিয়েছেন। বাংলাদেশের পক্ষে কূটনৈতিক প্রচার চালিয়েছেন।’

অনুষ্ঠানে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, ‘৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের এক ঐতিহাসিক দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ভারত। তখন থেকেই দু’দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক বন্ধন গড়ে উঠেছে।’

দু’দেশের সম্পর্ক আগামীতে আরও দৃঢ় হবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হওয়ায় স্বাগত জানান ভারতের পররাষ্ট্র সচিব।

এ বছর প্রথমবারের মতো ৬ ডিসেম্বর উদযাপিত হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী দিবস। ঢাকা ও দিল্লি ছাড়াও বেলজিয়াম, কানাডা, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, রাশিয়া, কাতার, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, জাপান, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, সুইজারল্যান্ড, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের ১৮টি দেশে বন্ধুত্বের দিনটি উদযাপিত হচ্ছে।

এ বিভাগের আরো খবর