বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কথা নয়, এখন থেকে অ্যাকশন: গয়েশ্বর

  •    
  • ৬ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৫:৫৫

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমাদের নেত্রী আজ মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। তার সঙ্গে দেখা করতে পারি না। চিকিৎসকদের কথা সরকার কানে নেয় না। খালেদা জিয়াকে ক্ষমা চাইতে বলে। দেশে এ সময়ে কোনো মানুষ নিষ্পাপ আছে, যার কাছে খালেদা জিয়া ক্ষমা চাইবে? খালেদা জিয়া এমন কী অন্যায় করেছে, যার জন্য ক্ষমা চাইবে?

শেখ হাসিনা সরকার ভোট চোর মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, এ ভোট চোরের বিরুদ্ধে জনগণের লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছে বিএনপি।

তিনি বলেন, ‘আমাদের আর কথা নয়, এখন থেকে অ্যাকশন। অ্যাকশন অ্যাগাইনিস্ট মিডনাইট গভার্মেন্ট।’

সোমবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে তার উন্নত চিকিৎসার দাবিতে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের সমাবেশ তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করার কথা থাকলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে স্থান পরিবর্তন করে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সমাবেশ করা হয়।

সমাবেশে গয়েশ্বর বলেন, ‘আপনারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন, এখনও আপনাদের নেতৃত্বে এলাকার মানুষ ঐক্যবদ্ধ আছে। আমরা আবারও ৯০-এর গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আরেকটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করব। মিডনাইট এ গভার্মেন্টকে বিদায় করব। গণতন্ত্রের মাতা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব, দেশবাসীকে মুক্ত করব।’

বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘উপমহাদেশের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া। মুসলিম বিশ্বের প্রথম নির্বাচিত নারী প্রধানমন্ত্রী, একবার নয়, তিনবার। তিনি আলাদা আলাদাভাবে ২৩টি আসনে নির্বাচন করে প্রতিটি আসন থেকে বিজয়ী হয়েছেন।

‘সেই নেত্রী সম্পর্কে (ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী-এমপি ও নেতা) যে ধরনের ঠাট্টা মশকরা করা হয়- এটা শিষ্টাচারের সঙ্গে তুলনা করা যায় না। এরা বেয়াদব। এদের জবাব মুখে দেয়া যায় না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা আপনাদের সাহসকে আরও প্রত্যয়ী করুন, নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আরও ইস্পাতকঠিন ঐক্য গড়ে তুলুন। এটাই হবে আমাদের আন্দোলনের সফলতার মূলমন্ত্র।’

গয়েশ্বর বলেন, ‘আমাদের নেত্রী আজ মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। তার সঙ্গে দেখা করতে পারি না। চিকিৎসকদের কথা সরকার কানে নেয় না। খালেদা জিয়াকে ক্ষমা চাইতে বলে।

‘বাংলাদেশে এ সময়ে কোনো মানুষ নিষ্পাপ আছে, যার কাছে খালেদা জিয়া ক্ষমা চাইবে। খালেদা জিয়া এমন কী অন্যায় করেছে, যার জন্য ক্ষমা চাইবে? টাকা তছরুপ হয়নি, বরং বেড়ে কয়েক গুণ হয়েছে। তারপরও তাকে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অথচ হাজার হাজার, লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না।’

সমাবেশে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘দেশের প্রথিতযশা চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এ দেশে তার কোনো চিকিৎসা নেই। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত বিদেশে নিতে হবে। এ বিষয়টি নিয়েও সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা তুচ্ছতাচ্ছিল্য করছেন।’

সমাবেশে জিয়া পরিবার তথা তারেক রহমানের কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান সম্পর্কে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর নারী বিদ্বেষী মন্তব্যের জন্য কঠোর সমালোচনা করেন রিজভী।

সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাকের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী, সাবেক জনপ্রতিনিধি ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন, শাহে আলম, আবু সাইদ চাঁন, দেওয়ান শফিকুজ্জামান, তমিজ উদ্দিন, কফিল উদ্দিন, দিলদার হোসেন, জাফর ইকবাল হিরণ, আমিনুল ইসলাম বাদশা, সরকার বাদল, মোর্শেদ মিল্টন, মশিউর রহমান, নবী নেওয়াজ খান, জয়নাল আবেদিন, আতাউর রহমান আতা, আসিক চৌধুরীসহ অনেকে।

এ বিভাগের আরো খবর