বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ আয়োজনে অংশীদার ‘নগদ’

  •    
  • ৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৬:৫৫

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উপলক্ষ্যে আমরা নগদ-এর কাছে বলেছিলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক চরিত্র বজায় রেখে তারা যেন ক্যাম্পাসকে সাজান। সেটিও প্রশংসনীয় এবং তারা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করেছেন।’

একটি দেশের উত্থান, বেড়ে ওঠা এবং জাতি গঠনে অবদান রাখা দেশের বাতিঘর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শতবর্ষ উদযাপন করছে। এই দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে দেশকে একটি শক্তিশালী ভিতের ওপর দাঁড় করাতে অগণিত গ্রাজুয়েট উপহার দিয়েছে উপমহাদেশের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়টি।

মহতী এই উদযাপনের সঙ্গী হয়েছে ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে রোববার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে এক অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য শতবর্ষের স্মারক হিসেবে প্রায় ৪৫ হাজার রিস্টব্যান্ড উপহার দিয়েছে ‘নগদ’।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের কাছে ‘নগদ’–এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক রিস্টব্যান্ডগুলো হস্তান্তর করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী উপস্থিত ছিলেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উপলক্ষ্যে আমরা নগদ-এর কাছে বলেছিলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক চরিত্র বজায় রেখে তারা যেন ক্যাম্পাসকে সাজান। সেটিও প্রশংসনীয় এবং তারা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করেছেন।

‘উদ্ভাবনী দৃষ্টিভঙ্গিতে অ্যাকাডেমিক ফ্লেভার নিয়ে ক্যাম্পাসকে কীভাবে সাজাতে হয়, সেটি নগদ দেখিয়েছে। একেকটি প্রাঙ্গণ যেন নতুন নতুন মাত্রা পেয়েছে। সে জন্য নগদ-কে ধন্যবাদ। আশা করি ভবিষ্যতেও নগদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আয়োজনে সম্পৃক্ত থাকবে।’

গত ১ ডিসেম্বর ‘শতবর্ষের আলোয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ শিরোনামে শুরু হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি উদযাপন উপলেক্ষ্যে চার দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আব্দুল হামিদ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে ১০০ বছরের স্মৃতি-সম্বলিত ফটো-ওয়াল ও অন্যান্য সাজসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন, টিএসসি, শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল এবং বিভিন্ন স্থাপনা।

ক্যাম্পাসের কার্জন হল, কলাভবন ও মলচত্বরসহ বিভিন্ন স্থাপনা বর্ণিলরূপে সাজানো হয়েছে। পাশাপাশি আলোকসজ্জা করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সাজসজ্জার যাবতীয় দায়িত্ব পালন করছে ডাক বিভাগের ‘নগদ’।

১৯২১ সালে যাত্রা শুরু করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১০০ বছর পূর্ণ করে চলতি বছরের ১ জুলাই। কিন্তু করোনার কারণে শতবর্ষের অনুষ্ঠান ব্যাহত হয়। করোনা পরিস্থিতির উন্নতির ফলে সম্প্রতি আয়োজন করা হয় শতবর্ষের এই অনুষ্ঠানটি। এরই ধারাবাহিকতায় ১ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন আয়োজন করে শতবর্ষ উদযাপন করছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি ও ডিজিটাল বাংলাদেশ ডে উপলক্ষ্যে ১২ ডিসেম্বর ‘নগদ’ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে কনসার্টের আয়োজন করেছে।

কনসার্টে ‘নগর’ বাউল জেমস ছাড়াও ওয়ারফেজ, সহজিয়া, মেঘদল, কৃষ্ণপক্ষ, ইন্ট্রোয়েট, তীরন্দাজ ও মেহরীন অংশ নেবে।

১৬ ডিসেম্বরও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ফায়ারওয়ার্কস ও লেজার শোর আয়োজন করা হচ্ছে। এতে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণ ও ভূমিকা ফুটিয়ে তোলা হবে। আয়োজনটিতে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত থাকছে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’।

বিষয়গুলো নিয়ে ‘নগদ’-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, ‘দেশের বাতিঘর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শতবর্ষ উদযাপন করছে, এটি দেশের জন্য একটি বড় অর্জন। পৃথিবীর আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয় হয়তো নেই যারা দেশের স্বাধীনতা ও স্বাধীকার আন্দোলনে নেতৃত্বের স্থানে থেকেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনন্য এই গৌরবের অংশীদার।

‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এই মাহেন্দ্রক্ষণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপনের সঙ্গে থাকতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। দেশের জন্য অসামান্য অবদান বয়ে আনতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পথচলা সহস্র বছরের হোক, সেই কামনা করছি।’

এ বিভাগের আরো খবর