রাজধানীতে রিকশায় বাসায় ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হয়েছেন দ্য সাউথ এশিয়ান টাইমসের বিশেষ প্রতিনিধি রিয়াজ চৌধুরী।
শুক্রবার রাত সোয়া ১০টার দিকে কারওয়ান বাজার এলাকায় এফডিসির পাশে এ হামলা হয়।
জানা গেছে, হঠাৎই একটি মোটরসাইকেল সাংবাদিক রিয়াজকে বহনকারী রিকশাকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এরপর ধাক্কা দেয়া মোটরসাইকেটি রিকশার ডান পাশে আসে। এ সময় তাকে উপর্যুপরি কিল-ঘুষি মারতে থাকেন মোটরসাইকেলের দুই আরোহী। একজন বলতে থাকেন, ‘তুই বেশি বাইড়া গেচস, মাইরা ফেলব।’
এ ঘটনায় সাংবাদিক রিয়াজ মুখে আঘাত পেয়েছেন। তার মোবাইল ফোনটিও কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে। হামলা ও হুমকির ঘটনায় তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছছেন রিয়াজ। থানা পুলিশ তাকে নিয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
হামলা প্রসঙ্গে রিয়াজ চৌধুরী বলেন, ’আমি কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুজন মোটরসাইকেলে এসে আমাকে মারধর শুরু করে। আমার মুখে ঘুষি দেয়। তাদের আমি চিনি না। তাদের গলার স্বরও পরিচিত নয়। মোটরসাইকেলের দুজন যাত্রী ছিল, দুজনের মাথাতেই হেলমেট ছিল। তাই তাদের চেহারা দেখতে পারিনি।’
তিনি বলেন, ’আরও বড় কিছু হয়তো হতে পারত। রিকশাচালক ও আশপাশের লোকজন চিৎকার দেয়ায় দুজন দুর্বৃত্ত পালিয়ে গেছে।’ তবে কারা কী কারণে এই হামলা করেছে, তা বলতে পারেননি তিনি।
রিয়াজ চৌধুরী বলেন, ’গত ৩০ নভেম্বর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক পদে আমি নির্বাচন করেছি। এতে আমাকে অনেকেই হয়তো ভোট দেয়নি। তবে কারও সঙ্গে এমন কোনও শত্রুতা তো নেই যে আমাকে মারতে পারে, আমার ওপর হামলা করতে পারে। আমি এটা বিশ্বাস করি না। যে বা যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, পুলিশ নিশ্চয়ই তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসবে।’
হামলায় জড়িত দুজনকে শনাক্তে পুলিশ কাজ করছে বলে জানান তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী আবুল কালাম। তিনি বলেন, 'এফডিসি ও পুলিশ বক্সের মাঝামাঝি জায়গায় ঘটনাটি ঘটেছে। আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ ও ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে জড়িতদের শনাক্তে চেষ্টা করছি।'
এদিকে রিয়াজ চৌধুরীর ওপর অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তদের হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি।
সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সভাপতি মুরসালিন নোমানী ও সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান শনিবার এক বিবৃতিতে রিয়াজ চৌধুরীর ওপর যারা হামলা ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে তাদের দ্রুত শনাক্ত করে বিচারের মুখোমুখি করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানিয়েছেন।