সরকারি খালের ওপর নির্মিত কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলীর মার্কেট ভেঙে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
শনিবার সকাল ৯টার দিকে পবা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ এহসান উদ্দীন কাটাখালী বাজারের বাসস্ট্যান্ডের পাশে সরকারি খালের ওপর নির্মাণাধীন দোতলা মার্কেটে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেন।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করার জন্য এই অভিযান। খালের ওপর নির্মাণাধীন ভবনটি উচ্ছেদের জন্য ২৫ আগস্ট নোটিশ দেয়া হয়েছিল।’
স্থানীয়দের অভিযোগ, দ্বিতীয়বার নৌকার মনোনয়ন নিয়ে মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর আব্বাস আলী কাটাখালী বাজারের পানি নিষ্কাশনের প্রধান খালটি দখল করে তার ওপর দোতলা মার্কেটের নির্মাণকাজ শুরু করেন।
সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল বসানো নিয়ে আপত্তি তোলা মেয়র আব্বাসের একটি অডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
১ মিনিট ৫১ সেকেন্ডের ওই অডিওতে তিনি বলেন, ‘সিটি গেট আমার অংশে। ... ফার্মকে দিয়েছে তারা বিদেশি স্টাইলে সাজিয়ে দিবে; ফুটপাত, সাইকেল লেন টোটাল আমার অংশটা। কিন্তু একটু থেমে গেছি, গেটটা নিয়ে। একটু চেঞ্জ করতে হচ্ছে যে ম্যুরালটা দিয়েছে বঙ্গবন্ধুর, সেটা ইসলামি শরিয়ত মতে সঠিক নয়। এ জন্য আমি ওটা থুব না (রাখব না), সব করব তবে শেষ মাথাতে যেটা ওটা (ম্যুরাল)।’
তিনি বলেন, ‘আমি দেখতে পাচ্ছি, ম্যুরালটা ঠিক হবে না দিলে। আমার পাপ হবে; তো কেন দিব, দিব না। আমি তো কানা না, যেভাবে বুঝাইছে তাতে আমার মনে হয়েছে, ম্যুরালটা হলে আমার ভুল করা হবে।
‘এ খবরটা যদি যায় তাহলে আমার রাজনীতির বারোটা বাজবে যে এই ম্যুরাল দিছে না। তাহলে বঙ্গবন্ধুকে খুশি করতে গিয়ে আল্লাহকে নারাজ করব নাকি। এ জন্য কিছু করার নাই। মানুষকে সন্তুষ্ট করতে গিয়ে আল্লাহকে অসন্তুষ্ট করা যাবে না।’
এ ঘটনায় ২৪ নভেম্বর আব্বাসের বিরুদ্ধে বোয়ালিয়া থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। ১ ডিসেম্বর ভোরে রাজধানীর হোটেল রাজমনি ইশা খাঁ থেকে গ্রেপ্তার করে তাকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশ তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছে। আগামী রোববার রিমান্ডের শুনানি হবে।