রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা দেশে সেভাবে নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শুক্রবার সকালে কৃষক দলের মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসনের রক্তক্ষরণ হচ্ছে উল্লেখ করে মির্ফা ফখরুল বলেন, ‘এটা যদি বেশিদিন চলে তাহলে তিনি বাঁচবেন না। তার যে রোগ হয়েছে, আপনারা শুনেছেন লিভার সিরোসিস; মারাত্মক রোগ। দেশে এই রোগের চিকিৎসা সেভাবে নেই।
‘একমাত্র আমেরিকা, ইংল্যান্ড ও জার্মানিতে এই রোগের চিকিৎসা ভালো হয়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি নেত্রীকে বিদেশে পাঠানো হোক। বিদেশে পাঠানোর সেই সুযোগটা চাচ্ছি। এটা দয়ামায়া বা মহানুভবতা নয়, একজন নাগরিকের অধিকার।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘আসুন। আজ জুম্মা বার, পবিত্র দিন। আমাদের নেত্রীর সুস্থতার জন্য দোয়া করি। এর আগের জুম্মার দিন আমরা দোয়া করেছি। বায়তুল মোকাররমে লক্ষ মানুষ দোয়া করেছে। প্রতিদিন প্রতি ওয়াক্তের নামাজে আমাদের মা-বোনেরা দোয়া করছেন। আল্লাহ, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সুস্থ করে আমাদের মধ্যে ফিরিয়ে নিয়ে আসো।’
কৃষক দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনারা ছড়িয়ে পড়েন গোটা বাংলাদেশে। বাংলাদেশের সব কৃষক, কৃষানীদের বের করে নিয়ে আসেন ঘর থেকে। তারা তাদের নেত্রীর জন্য, বাংলাদেশের অস্তিত্বের জন্য, বাংলাদেশের আত্মার জন্য রাজপথে দাঁড়াক।’
কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুলের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বিএনপির ভাইস চেয়ারপারসন শামসুজ্জামান দুদু, যুবদলের সাইফুল আলম নিরব, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ বক্তব্য দেন।
গত ১৩ নভেম্বর বিকেলে খালেদা জিয়াকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে এভারকেয়ারে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হওয়ায় পরের দিন ভোরে তাকে সিসিইউতে নেয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছে তার।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে বলে শুক্রবার সকালে জানিয়েছেন তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের এক সদস্য।
তিনি জানান, কিছুদিন আগেও তরল খাবার ছাড়া অন্য কোনো খাবার খেতে পারতেন না খালেদা জিয়া, তবে এখন তরল খাবারের সঙ্গে বাসায় তৈরি করা অন্য খাবারও খেতে পারছেন।
মেডিক্যাল বোর্ডের ওই সদস্য নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সিসিইউতে (ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট) যে যাচ্ছেন তার সঙ্গে হাত নেড়ে নেড়ে কথা বলছেন খালেদা জিয়া। কেউ সালাম দিলে উত্তর দিচ্ছেন।’