লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবের ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সভাপতি হোসাইন আহমদ হেলাল ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
জেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক রায়হান চৌধুরীর আদালতে মঙ্গলবার দুপুরে তিনজনের নামে মামলাটি করা হয়। বিচারক মামলাটি গ্রহণের পর তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)।
প্রেস ক্লাব সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন সংগঠনের সদস্য ও দৈনিক মুক্তখবরের জেলা প্রতিনিধি আহাম্মদ আলী।
মামলার আইনজীবী মাহাবুবুল করিম টিপু জানান, প্রেস ক্লাবের টাকা আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে মামলাটি করা হয়েছে।
স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, সম্প্রতি প্রেস ক্লাবের ২৩ মাসের আয়-ব্যয়ের একটি হিসাব বিবরণী সদস্যদের দেয়া হয়। সেখানে স্বাক্ষর করেন হিসাব কমিটির আহ্বায়ক মো. কাউছার, সদস্য আতোয়ার রহমান মনির ও নিজাম উদ্দিন।
ওই বিবরণীতে ১৬টি খাতে আয় দেখানো হয় ৩৮ লাখ ৯২ হাজার ২৮০ টাকা। আর ব্যয় দেখানো হয় ২৬টি খাতে ২১ লাখ ৭৩ হাজার ৩১০ টাকা, অথচ এর মধ্যে ১৪টি খাতে কোনো ব্যয়ই করা হয়নি।
তাদের অভিযোগ, এসব খাতে প্রায় ২০ লাখ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন সভাপতি ও সম্পাদক।
এজাহারে বলা হয়, ২০২০-২১ সালে প্রেস ক্লাবের সভাপতি হোসাইন আহমদ হেলাল ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে আসছিলেন।
এ ছাড়া সভাপতি ও সম্পাদকের পদ ব্যবহার করে এবং প্রেস ক্লাবের নাম ভাঙিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় তদবির, ভূমিহীনদের জমি দখল ও সংখ্যালঘু নারীদের কাছ থেকে ৩৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
প্রেস ক্লাবের বেশিরভাগ সদস্য এসব ঘটনার প্রতিবাদ করায় জ্যেষ্ঠ সদস্যদের সঙ্গে অশোভন আচরণ, নাজেহাল করা, বহিষ্কার, মামলা ও হামলার হুমকি দেয়া হয়।
এসব ঘটনার প্রতিবাদে ১৮ নভেম্বর প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আহ্বায়ক এবং ভোরের কাগজ ও দেশটিভির প্রতিনিধি কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ সাধারণ সভা হয়।
ওই সভায় প্রেস ক্লাবের টাকা আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ এনে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও হিসাব কমিটির প্রধানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে মামলা করারও সিদ্ধান্ত নেন সদস্যরা।
৩০.১১.২০২১