লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের ইছাপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও এর বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে।
নিহত সজিব হোসেনের বোন মঙ্গলবার সকালে বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থীকে প্রধান আসামি করে রামগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ২৮ তারিখের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আমির হোসেন খাঁন। তিনি এই নির্বাচনে জয় পান।
আমিরকে প্রধান আসামি করে সজিবের বোন ২১ জনের নামসহ অজ্ঞাতপরিচয় ২০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
এর আগে রোববার ওসি জানান, রোববার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে নৌকা ও এর বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে এটি সংঘর্ষ পর্যন্ত গড়ায়। সে সময় মাথায় আঘাত পান সজিব হোসেন।
তাকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখান থেকে চাঁদপুরের হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যু হয়।