বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৩ বিদ্রোহীর দাপটে জামানত খোয়ালেন নৌকার প্রার্থী

  •    
  • ৩০ নভেম্বর, ২০২১ ০২:১৫

জামানত হারানো প্রার্থী আব্দুল কাদিরের বলেন, ‘পূর্বধলায় দুই ভাগে বিভক্ত আওয়ামী লীগ। একদিকে আছেন সংসদ সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল (বীরপ্রতীক)। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহম্মেদ হোসেন। বেলালের অনুসারী আশরাফুল করিম তুষার ও আফতাব উদ্দিন। আর আহম্মেদ হোসেনের সিদ্দিকুর রহমান বুলবুল। দলের সব নেতাকর্মী দুই পক্ষে চলে যাওয়ায় আমার পক্ষে কেউ কাজ করেনি।’

নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার পূর্বধলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিন বিদ্রোহী প্রার্থীর দাপটে জামানত খোয়ালেন নৌকার প্রার্থী আব্দুল কাদির। ইউনিয়ন নির্বাচনের বিধি অনুযায়ী নির্ধারিত ভোট না পাওয়ায় নৌকা প্রতীকের এই প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে।

গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও নৌকার প্রার্থী হয়ে পরাজিত হন তিনি। তবে তখন জামানত হারাতে হয়নি।

পূর্বধলা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত আব্দুল কাদিরের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের তিন বিদ্রোহী প্রার্থী হলেন, অটোরিকশা প্রতীকের আশরাফুল করিম তুষার, চশমা প্রতীকের আফতাব উদ্দিন ও মোটরসাইকেল প্রতীকের সিদ্দিকুর রহমান বুলবুল।

রোববার জেলার পূর্বধলা, দুর্গাপুর ও কলমাকান্দার ২৫ ইউনিয়নে ভোট হয়। এতে পূর্বধলা উপজেলায় ১০ ইউনিয়নের মধ্যে ৮টিতে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীরা। দুটি গেছে নৌকার পক্ষে।

পূর্বধলা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সই করা বেসরকারি ফলে পূর্বধলা ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী আব্দুল কাদির পেয়েছেন ৩৫১ ভোট।

মোটরসাইকেল প্রতীকের সিদ্দিকুর রহমান বুলবুল ৬ হাজার ৩৭২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। অটোরিকশা প্রতীকের আশরাফুল করিম ৫ হাজার ৬৩২ ভোট এবং চশমা প্রতীকের আফতাব উদ্দিন পেয়েছেন ৩ হাজার ১৪৭ ভোট। মোট ভোট পড়েছে ১৭ হাজার ১২১।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখ জানান, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা ২০১০ এর ৪৪ এর ৩ অনুযায়ী নির্বাচনে ভোটারদের দেয়া মোট ভোটের আট ভাগের এক ভাগ না পেলে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়। সেই টাকা জমা দেয়া হয় সরকারের কোষাগারে। এ ক্ষেত্রে পূর্বধলা ইউনিয়ন নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল কাদিরের জামানত বাজেয়াপ্ত করা হবে।

জামানত হারানো প্রার্থী আব্দুল কাদিরে বলেন, ‘পূর্বধলায় দুই ভাগে বিভক্ত আওয়ামী লীগ। একদিকে আছেন সংসদ সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল (বীরপ্রতীক)। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহম্মেদ হোসেন।

‘বেলালের অনুসারী আশরাফুল করিম তুষার ও আফতাব উদ্দিন। আর আহম্মেদ হোসেনের সিদ্দিকুর রহমান বুলবুল। দলের সব নেতাকর্মী দুই পক্ষে চলে যাওয়ায় আমার পক্ষে কেউ কাজ করেনি।’

দলীয় কোন্দল প্রশ্নে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এরশাদ হোসেন মালু বলেন, ‘আব্দুল কাদিরের অভিযোগ সত্য নয়। দলে কোনো কোন্দল নেই। আসলে এলাকায় তার জনপ্রিয়তা নেই। তার প্রতিফলন ভোটে পড়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর