বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খালেদা ইস্যুতে কূটনীতিকদের অবস্থান জানাল সরকার

  •    
  • ২৯ নভেম্বর, ২০২১ ১৬:২৪

পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বর্তমান অবস্থা নিয়ে কথা হয়েছে। আমরা বলেছি, সরকার এ বিষয়ে কোনো হস্তক্ষেপ করছে না। তিনি একজন বন্দি তাই আইনানুযায়ী তার বিষয়টি দেখভাল করা হচ্ছে। দেশের যে কোনো স্থানেই তিনি চিকিৎসা নিতে পারেন। বিদেশে থাকা কোনো চিকিৎসক যদি মনে করেন তবে তিনি চিকিৎসা দিতে দেশে আসতে পারেন।’

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অসুস্থতার বিষয়ে সরকারের অবস্থান বিদেশি কূটনৈতিকদের কাছে স্পষ্ট করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সোমবার অর্ধশতাধিক রাষ্ট্রদূত ও তাদের প্রতিনিধিদের ব্রিফ করেন তিনি।

এরপর এক সংবাদ সম্মেলনে আলোচ্য বিষয়গুলো তুলে ধরেন একে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বর্তমান অবস্থা নিয়ে কথা হয়েছে। আমরা বলেছি, সরকার এ বিষয়ে কোনো হস্তক্ষেপ করছে না। তিনি একজন বন্দি তাই আইনানুযায়ী তার বিষয়টি দেখভাল করা হচ্ছে। দেশের যে কোনো স্থানেই তিনি চিকিৎসা নিতে পারেন।

‘কিন্তু তিনি যদি বিদেশে যেতে চান তাহলে এরজন্য যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। আমরা দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এরজন্য আমরা আশা করি, তার ক্ষেত্রেও আইনি প্রক্রিয়াগুলো অনুসরণ করা হবে। তিনি চিকিৎসার জন্য বিদেশ থেকে যে কোনো চিকিৎসককেই আনতে পারেন। তার সব মেডিক্যাল রিপোর্টগুলো বিদেশে পাঠানো হয়েছে। বিদেশে থাকা কোনো চিকিৎসক যদি মনে করেন তবে তিনি চিকিৎসা দিতে দেশে আসতে পারেন।’

এ সময় সাম্প্রতিক ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংতার বিষয়গুলোও উঠে আসে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সাম্প্রতিক ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়েও কথা বলেছি। সারা দেশে সাড়ে ৪ হাজার ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। এখন পর্যন্ত দুই হাজার দুইশটিতে নির্বাচন শেষ হয়েছে। গতকাল এক হাজার ইউপিতে নির্বাচন হয়েছে যেগুলোতে প্রায় ৫ হাজারেরও বেশি প্রার্থী ছিলেন।

‘আমরা খুবই আনন্দিত যে নির্বাচনগুলো খুবই অংশগ্রহণমূলক হয়েছে। ভোটারদের অংশ গ্রহণও ছিল অনেক বেশি। তবে এর মধ্যেও কয়েকটি জায়গায় সহিংসতা হয়েছে। আমরা কোনো পর্যায়ের নির্বাচনেই সহিংসতা চাই না, কিন্তু আমি জানি না এটা কীভাবে করা যায়।’

তিনি বলেন, ‘আমরা সব রাজনৈতিক নেতাদেরই বলেছি, সমর্থকদের উত্তেজিত করবেন না। তাদের সহিংসতা বন্ধ করা উচিত। তাদের মনোযোগ হওয়া উচিত ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে নিয়ে আসতে। ভোটাররা কখনই ভুল করেন না। লাখো মানুষ ভোট দিচ্ছে এবং অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য সরকার অঙ্গিকারাবদ্ধ।

‘সরকার কোনটিতেই হস্তক্ষেপ করেনি। প্রধান বিরোধী দল আনুষ্ঠানিকভাবে অংশ নেয় নি কিন্তু অনানুষ্ঠানিকভাবে তাদের অনেক প্রার্থী ছিল যাদের অনেকেই বিজয়ী হয়েছেন।’

এ সময় দেশের কোভিড পরিস্থিতি সম্বন্ধেও বিদেশি কূটনীতিকদের ধারনা দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আজকে ঢাকায় থাকা বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে আমি আলোচনা করেছি। আপনারা জানেন, কোভিড সংক্রমণের কারণে অনেক দিন ধরেই তাদের সাথে কথা বলার সুযোগ হয়নি। আজকে একটা সুযোগ পেয়েছি ঢাকার সব কূটনীতিকদের সঙ্গে কথা বলার।

‘আমি তাদের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অবহিত করেছি যার মধ্যে একটি ছিল কোভিড পরিস্থিতি। এখন কোভিড পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণে। আমরা এরই মধ্যে ১০ কোটিরও বেশি টিকা দিয়েছি। প্রতিদিন প্রায় দেড় কোটি টিকা দেয়ার সক্ষমতা আমাদের আছে।’

তিনি বলেন, ‘যদিও কোভিড আমাদের নিয়ন্ত্রণেই আছে তারপরেও এর নতুন একটি ধরন যেটি সাউথ আফ্রিকায় শনাক্ত হয়েছে এরজন্য আমাদের দেশটির সঙ্গে সব ধরনের বিমান যোগাযোগ বন্ধ করে দিতে হয়েছে।

‘আমরা রোহিঙ্গা ইস্যুটি নিয়েও কথা বলেছি। এবারই প্রথমবারের মতো রোহিঙ্গা নিয়ে একটি রেজুলেশন জাতিসংঘ গ্রহণ করেছে। ১৯৩ দেশের কেউই এটির বিপক্ষে অবস্থান নেয়নি। এরজন্য সব দেশকেই ধন্যবাদ জানিয়েছি।’

এ বিভাগের আরো খবর