বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মেয়র আব্বাসকে বহিষ্কার ও গ্রেপ্তার দাবি মহানগর আ.লীগের

  •    
  • ২৫ নভেম্বর, ২০২১ ১৭:২৪

বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল বসানো নিয়ে আপত্তি তুলে আব্বাসের কথার একটি অডিও গত সোমবার ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এরপর বুধবার তাকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। একই সঙ্গে কেন দলীয় সদস্যপদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হবে না, জানতে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল বসানোয় আপত্তি তোলা রাজশাহীর কাটাখালী পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক আব্বাস আলীকে গ্রেপ্তার ও দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল বসানো নিয়ে আপত্তি তুলে আব্বাসের কথার একটি অডিও গত সোমবার ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এরপর বুধবার তাকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। একই সঙ্গে কেন দলীয় সদস্যপদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হবে না, জানতে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।

সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কাটাখালী পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক আব্বাস আলী ধৃষ্টতাপূর্ণ অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন। আমরা সবাই জানি বঙ্গবন্ধু বাঙালির অনুভূতি ও আবেগের জায়গা। তাকে নিয়ে কটূক্তি ও অশোভন মন্তব্য করা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আব্বাসের এমন কটূক্তি ও অবমাননাকর মন্তব্যে সারা দেশের মানুষের মতো রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগও মর্মাহত। তার ধৃষ্টতাপূর্ণ অশালীন মন্তব্যের পরিপ্রক্ষিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাজশাহী মহানগর তাকে সংগঠনের পদ ও প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে আজীবন বহিষ্কারের পাশাপাশি তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছে।

সংবাদ সম্মেলনে মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল ও শফিকুর রহমান বাদশা, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইশতিয়াক আহমেদ লিমন উপস্থিত ছিলেন।

আব্বাস আলী ২০১৫ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে প্রথমবার মেয়র নির্বাচিত হন। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন।

ঘরোয়া একটি আলোচনায় মেয়র আব্বাস বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপনের বিরোধিতা করে কথা বলেন। গত সোমবার এই আলোচনার অডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

১ মিনিট ৫১ সেকেন্ডের বক্তব্যে শোনা যায়, তিনি একজনকে বলছেন, ‘সিটি গেট আমার অংশে। …ফার্মকে দিয়েছে তারা বিদেশি স্টাইলে সাজিয়ে দিবে; ফুটপাত, সাইকেল লেন টোটাল আমার অংশটা। কিন্তু একটু থেমে গেছি, গেটটা নিয়ে। একটু চেঞ্জ করতে হচ্ছে… যে ম্যুরালটা দিয়েছে বঙ্গবন্ধুর সেটা ইসলামি শরিয়ত মতে সঠিক নয়। এ জন্য আমি ওটা থুব না (রাখব না), সব করব তবে শেষ মাথাতে যেটা… ওটা (ম্যুরাল)।’

মেয়র আব্বাস আলী বলছেন, ‘আমি দেখতে পাচ্ছি, ম্যুরালটা ঠিক হবে না দিলে। আমার পাপ হবে; তো কেন দিব, দিব না। আমি তো কানা না, যেভাবে বুঝাইছে তাতে আমার মনে হয়েছে, ম্যুরালটা হলে আমার ভুল করা হবে।

‘এ খবরটা যদি যায় তাহলে আমার রাজনীতির বারোটা বাজবে যে এই ম্যুরাল দিছে না। তাহলে বঙ্গবন্ধুকে খুশি করতে গিয়ে… আল্লাহকে নারাজ করব নাকি। এ জন্য কিছু করার নাই। মানুষকে সন্তুষ্ট করতে গিয়ে আল্লাহকে অসন্তুষ্ট করা যাবে না।’মেয়রের অডিওটি কোন সময়ে বা কাদের সঙ্গে আলাপের, সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে কথা বলতে তার মোবাইলে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি সাড়া দেননি। পরিচয় জানিয়ে তাকে এসএমএস করা হলেও জবাব দেননি মেয়র আব্বাস।

ফেসবুকে মঙ্গলবার রাতে মেয়র আব্বাস দাবি করেন, ছড়িয়ে পড়া অডিওটি এডিট করা। এ রকম কথা তিনি বলেননি।

মেয়র আব্বাসের ওই বক্তব্যের প্রতিবাদে বুধবার দিনভর বিক্ষোভ হয়েছে রাজশাহীতে। আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সংগঠন থেকে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।

বিক্ষুব্ধরা মেয়র আব্বাসকে শহরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে, তাকে দল থেকে বহিষ্কার ও আইনের আওতায় আনার দাবিও তোলা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর