বাগেরহাটের কচুয়ায় ইউপি নির্বাচনে পরাজিত নারী সদস্য প্রার্থীর সমর্থকের ঘরে ঢুকে হাতে চুড়ি পরিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে নবনির্বাচিত ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।
কচুয়া সদর ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী আসনের পরাজিত প্রার্থী সেলিনা বেগমের সমর্থক মোশারেফ শেখ মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ তোলেন। তবে অভিযোগ নাকচ করেছেন নবনির্বাচিত সদস্য বালী শোকরানা রব্বানি আজাদ।
মোশারেফ সদর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি। তার বাড়ি গিমটাকাঠি গ্রামে।
বাগেরহাট প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, নির্বাচনে ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থী সেলিনা বেগমের কর্মী হিসেবে তিনি কাজ করেছেন। সেলিনার প্রতিদ্বন্দ্বী মোহিনী বেগমকে সমর্থন দিয়েছেন বালী আজাদ।
মোশারেফ বলেন, ‘সেলিনা হেরে যাওয়ার পর বিজয়ী মোহিনী বেগমের পক্ষে কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক বালী শোকরানা রব্বানি আজাদ ওরফে আজাদ বালি ও তার লোকজন আমাকে হুমকি-ধমকি দেন।
‘একপর্যায়ে গত সোমবার বিকেলে আজাদ, ইকতিয়ার হোসেন, শহিদুল শেখসহ ১৫ থেকে ২০ জন আমার বাড়িতে এসে হুমকি দিতে থাকেন। এ সময় আমার পরিবারের সামনে ইকতিয়ার হোসেন আমার হাতে চুড়ি পরিয়ে দেন। গ্রামের লোকজন চুড়ি পরা লোক দেখতে আমার বাড়িতে ভিড় করেন। ৭১ বছর বয়েস আমার। এই অপমান সহ্য করে কীভাবে আমি গ্রামে বসবাস করব? আপনারাই বলেন।’
তিনি জানান, মঙ্গলবারও আজাদ ও তার লোকজন সেলিনা বেগমের কর্মী খোকন সাহা, পলাশী রানী সাহা ও সুশান্তকে মারধর করেন।
অভিযোগের বিষয়ে ইউপি সদস্য বালী আজাদ বলেন, ‘এই ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা আমার নির্দেশে ঘটেনি। আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য এই নাটক সাজানো হয়েছে। যদি এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটে থাকে, আমি তার তীব্র নিন্দা জানাই। দোষীদের শাস্তির দাবি করি।’