রাজবাড়ী সদরের বানিবহ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত আব্দুল লতিফ মিয়ার স্ত্রী শেফালী আক্তার।
মঙ্গলবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী।
১১ নভেম্বর রাত ১২টার দিকে নির্বাচনসংক্রান্ত কার্যক্রম শেষে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করে আব্দুল লতিফকে। তিনি বানিবহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।
২৩ ডিসেম্বর রাজবাড়ী সদরের বানিবহ ইউনিয়ন পরিষদে ভোট।
শেফালী আক্তার জানান, তার স্বামী এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। সুখে-দুঃখে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতেন। এলাকার সবাই তাকে ভালোবাসতো। এবারের নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার কথা ছিল। তার অনেক স্বপ্ন ছিল ইউনিয়ন নিয়ে। দুর্বৃত্তরা তাকে রাতের আঁধারে গুলি করে হত্যা করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমার স্বামীর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে আমি ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দলীয়ভাবেও আমাকে উৎসাহ দেয়া হচ্ছে। আশা করি সবার সমর্থন পেয়ে নির্বাচনে জয়লাভ করবো।’
বানিবহ ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন মোহাম্মদ আলী। তিনি ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
মোহাম্মদ আলী জানান, নির্মম ও হৃদয় বিদারক ঘটনার পর তারা আব্দুল লতিফের স্ত্রী শেফালীকেই সমর্থন দিয়েছেন।
রাজবাড়ী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রমজান আলী খান জানান, বানিবহ ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ তার বাড়িতে যায় লতিফ মিয়ার স্ত্রীকে প্রার্থী করার জন্য। শেফালীকে প্রস্তাব দেয়া হলে তিনি রাজী হন। তিনি শিক্ষিত ও যোগ্য প্রার্থী। তিনিই আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী।