বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পুলিশের অভিযোগ তদন্তে কমিশন চেয়ে রিটের আদেশ রোববার

  •    
  • ২৩ নভেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯

রিটকারীদের আইনজীবী শিশির মনির জানান, রিট আবেদনে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, অবসরপ্রাপ্ত আইজিপি, অবসরপ্রাপ্ত সচিব, আইনের শিক্ষক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ চাওয়া হয়েছে। কমিটি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা করে তাদের মতামতসংবলিত রিপোর্ট তৈরি করে আদালতে জমা দেবে।

পুলিশসহ সব আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ তদন্তের জন্য একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন (পুলিশ কমপ্লেইন্ট ইনভেস্টিগেশন কমিশন- পিসিআইসি) গঠন চেয়ে করা রিটের শুনানি শেষে আদেশের জন্য আগামী রোববার দিন ঠিক করে দিয়েছে হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ঠিক করে দেয়।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ রাসেল চৌধুরী।

পিসিআইসি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের ১০২ জন আইনজীবীর পক্ষে এ রিট আবেদন করা হয়।

রিটকারীদের আইনজীবী শিশির মনির জানান, রিট আবেদনে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, অবসরপ্রাপ্ত আইজিপি, অবসরপ্রাপ্ত সচিব, আইনের শিক্ষক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ চাওয়া হয়েছে। কমিটি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা করে তাদের মতামতসংবলিত রিপোর্ট তৈরি করে আদালতে জমা দেবে।

রিটে আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং পুলিশ মহাপরিদর্শককে বিবাদী করা হয়।

এ আইনজীবী বলেছিলেন, রিট আবেদনে পুলিশ বাহিনী গঠনের উদ্দেশ্য, ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধে তাদের অবদান, পুলিশের গৌরবময় অর্জনের বর্ণনা দেয়া হয়েছে। তাদের শৃঙ্খলা বিধানের বর্তমান আইনি কাঠামো সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে।

পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে পুলিশ সদস্যদের সংঘটিত অপরাধ ও অসদাচরণের বিবরণ দেয়া হয়েছে। এ-সংক্রান্তে ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ৫৮৯টি ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে। ঘটনাগুলোর সংবাদ রিট আবেদনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

রিটে বিদ্যমান আইনি কাঠামোর দুর্বলতা এবং অভিযোগ তদন্তে স্বাধীন তদন্ত কমিশনের অভাবকে এর প্রধান কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে।

দৃষ্টান্ত হিসেবে পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে করা ছয়টি মামলার অনুলিপি সংযুক্ত করা হয়। এসব মামলায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা চূড়ান্ত রিপোর্ট বা আপসের মাধ্যমে অব্যাহতি বা খালাস পেয়েছেন।

‘তদন্ত’ হলো বিচারের প্রাথমিক ধাপ। ন্যায়বিচারের জন্য প্রধান শর্ত হলো সঠিক ও নিরপেক্ষ তদন্ত। সুষ্ঠু তদন্ত সংবিধানের ৩৫(৩) এবং ২৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ব্যক্তির মৌলিক অধিকার। বর্তমান আইনি কাঠামোতে পুলিশের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তদন্তভার পুলিশের ওপরই ন্যস্ত। ফলে ওই তদন্ত প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

এ বিষয়ে ২০০৭ সালে ‘পুলিশ অধ্যাদেশ’ নামের একটি আইনের খসড়া প্রস্তুত করা হয়। প্রস্তাবিত অধ্যাদেশের ৭১ দফায় ‘পুলিশ কমপ্লেইন্ট কমিশন’ গঠনের বিধান প্রস্তাব করা হয়। তবে সেই খসড়া অধ্যাদেশ আজও আইনে পরিণত হয়নি।

এ বিভাগের আরো খবর