ভর্তি পরীক্ষায় অংশ না নিয়েও উত্তীর্ণের তালিকায় নাম আসার ব্যাখ্যা দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারা বলছেন, এক ভর্তিচ্ছু রোল নম্বর বসাতে ভুল করায় এই বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে তাদের।
জানা যায়, গত ৫ নভেম্বর ডি-১ উপইউনিটের পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা ছিল আফসারা তাসনিয়া নামের এক শিক্ষার্থীর। কিন্তু সেদিন অন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি। তার রোল নম্বর ছিল ৪৯২৫৬১। আর চবির ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়া ছাত্রের নাম আরিফুল ইসলাম, রোল নম্বর ৪৯২৫৬২। আরিফুল নম্বর বসাতে ভুল করেছিলেন।
নিউজবাংলাকে তাসনিয়া বলেন, ‘ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা থাকায় চবির ডি-১ উপইউনিটের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করিনি। কিন্তু গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠানো এক ক্ষুদে বার্তায় জানানো হয়, আমি ২০ ও ২১ নভেম্বরের ডি-১ উপ ইউনিটের প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার জন্য যোগ্য। পরে তালিকা চেক করে দেখি আমার রোল নম্বর মেরিট লিস্টে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিস্তারিত ফলাফলে দেখা যায়, বাংলায় ১৪.৭৫, ইংরেজিতে ৪.৭৫ ও সাধারণ জ্ঞানে ১৬.৭৫ নম্বর পেয়েছি। জিপিএ নম্বরসহ আমার মোট নম্বর ৫৫.৪৭।’
এ বিষয়ে ডি-১ উপইউনিটের সমন্বয়ক ও চবি সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ আরিফুল ইসলাম নামের এক পরীক্ষার্থী রোল নম্বর বসাতে ভুল করেছিল। তার রোল নম্বর ছিল ৪৯২৫৬২। কিন্তু তিনি ওএমআর-এ লিখেছিল ৪৯২৫৬১, যা তাসনিয়া নামের এক পরীক্ষার্থীর। ভুলটা এই জায়গায় হয়েছে। যদিও ওএমআর শিটে ওই ছেলের সই রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে কারও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সুযোগ নেই। ছেলেটি প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা দিতে আসেনি, মেয়েটির তো পরীক্ষার দেয়ার প্রশ্নই আসে না। কেউ আসলে বিষয়টা ধরা পরতো।
‘আমাদের এখন দেখতে হবে এটা প্রবেশপত্রজনিত কোনো ভুল, নাকি দায়িত্বশীল কারও ভুল ছিল। ওই রুমে কে ছিল সেটাও আমরা দেখব। প্রাথমিকভাবে আমরা ওএমআর শিট দেখেছি। এ বিষয়ে আমরা বৈঠকে বসবো, তারপর সিদ্ধান্ত নেব।’
এ বিষয়ে আরিফুল ইসলাম নামের ওই ছাত্র বলেন, ‘আমি ভুল করেছি ঠিক। তবে সে সময় যে শিক্ষক আমার খাতায় সই করেছেন বিষয়টি তার চোখে পড়ার কথা। এখনতো আর কিছু করার নেই।’