ঠাকুরগাঁওয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পছন্দের প্রতীক না পাওয়ায় ভোটে থাকছেন না এক স্বতন্ত্র প্রার্থী।
প্রতীক পাওয়ার পর তিনি নিজের কোনো পোস্টার ছাপাননি। তার জন্য কোনো মাইকিং হচ্ছে না। মানুষের কাছে গিয়ে গিয়ে ভোটও চাচ্ছেন না।
এমন ঘটনা ঘটেছে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গি উপজেলার চাড়োল ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে।
তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চাড়োল ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন প্রতীক পেয়েছেন। তাদেরই একজন রজনীগন্ধা প্রতীক পাওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী মঈন উদ্দিন। বাকি সবাই পুরোদমে নিজেদের প্রচার চালালেও মঈনকে এসবে দেখা যাচ্ছে না।
স্থানীয় আলাউদ্দিন মাস্টার বলেন, ‘শুনলাম চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী পাঁচজন, কিন্তু শুধু তো চারজন ভোট চাচ্ছে। আরেকজনের কোনো খোঁজই নাই। কে তিনি, কেন নাই, কিছুই জানি না।’
ভোটের প্রচার থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখা স্বতন্ত্র প্রার্থী মঈন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি নির্বাচন কমিশনের কাছে ছাতা মার্কা চেয়েছিলাম। তারা আমাকে সেই প্রতীক দেয়নি, দিয়েছে রজনীগন্ধা প্রতীক। প্রতীকের কথা শুনেই আমার মন ভেঙে গেছে।
‘প্রতীক পছন্দ না হওয়ায় আমি নির্বাচন করছি না। ছাতা মার্কা দিলে আমি অবশ্যই নির্বাচন করে জয়যুক্ত হতাম।’
চাড়োল ইউনিয়নের রিটার্নিং অফিসার সুবোধ চন্দ্র রায় জানান, মঈন ছাতা মার্কার জন্য আবেদন করেছিলেন। তবে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের জন্য এই প্রতীক দেয়ার কোনো সুযোগ না থাকায় তাকে রজনীগন্ধা দেয়া হয়েছে। এ রকম কারণে মন খারাপ করে নির্বাচন না করার বিষয়টি অদ্ভুত।