নীলফামারী পৌরসভার ৪৯ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম একজন নারী সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। জয়ের বিষয়েও আশাবাদী তিনি।
২৮ নভেম্বরের নির্বাচনে গাজর প্রতীক নিয়ে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর পদে দাঁড়িয়েছেন নারী উদ্যোক্তা পারভীন আক্তার বাসনা। তার বাড়ি পৌরসভার কুমড়াখাওয়ার মোড় এলাকায়।
নিজের কর্মী-সমর্থক ও স্বামী ইয়াসিন আহমেদকে নিয়ে মানুষের কাছে গিয়ে গিয়ে ভোট চাচ্ছেন। এরই মধ্যে এলাকায় বেশ আলোচনাও শুরু হয়েছে তাকে নিয়ে।
পারভীন বলেন, ‘আমার জানা মতে এই পৌরসভায় কখনও কোনো নারী প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেয়নি। নারীরা শুধু সংসার চালায় না, জনগণকে নিয়ে কাজও করে। বিভিন্ন জায়গায় আমরা সেটা দেখেছি। তবে সাধারণ ওয়ার্ড নির্বাচনে নারীরা বেশ পিছিয়ে। তারা শুধু সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হতে চায়।
‘আমি মনে করি, আমার পুরুষদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সামর্থ্য রয়েছে। এ কারণে সাধারণ ওয়ার্ড নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি। সামাজিক অনেক কর্মকাণ্ডে আমার সম্পৃক্ততা আছে। পোশাক কারখানা, বিউটি পার্লারের ব্যবসায়ী হিসেবে অভিজ্ঞতা আছে।’
পারভীন আরও বলেন, ‘আমি ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। বিশেষ করে নারীরা আমাকে কাছে টানছেন। ভোট দেয়ার আশ্বাস দিচ্ছেন। আমি দৃষ্টান্ত রাখতে চাই যে শুধু পুরুষরাই নয়, নারীরাও সাধারণ ওয়ার্ডে নির্বাচন করতে পারে। এবার আমি দাঁড়িয়েছি, আগামীতে দেখবেন আরও অনেক নারী সাধারণ ওয়ার্ডে দাঁড়াচ্ছেন।’
তার স্বামী ইয়াসিন আহমেদ জানান, স্ত্রীর সঙ্গে পাড়া-মহল্লায় প্রচার চালাচ্ছেন। সাধারণ ওয়ার্ডে প্রথম নারী কাউন্সিলর প্রার্থী হওয়ায় ভোটাররা বেশ আগ্রহ দেখাচ্ছে।
রিটার্নিং অফিসার জাহাঙ্গীর হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নীলফামারী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে পারভীন আক্তার ছাড়া আরও ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই পৌরসভায় এর আগে কখনও কোনো নারী সাধারণ ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি। পারভীনই প্রথম।’
এই ওয়ার্ডের রিপন কুমার মজুমদার বলেন, ‘নির্বাচনে অংশ নিয়ে পারভীন অনেক সাহসের পরিচয় দিয়েছেন। তিনি নির্বাচিত হলে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবেন।’
নারীর অধিকার ও ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করা ডেমক্রেসিওয়াচের প্রকল্প সমন্বয়কারী কামাল হোসেন বলেন, ‘পারভীনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নারী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।’